মাওলানা আব্দুস সালাম মাদানী

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

মাওলানা আব্দুস সালাম আল-মাদানী: রাজশাহীর নারী শিক্ষার অগ্রদূত

বাংলাদেশের ইসলামি শিক্ষার ক্ষেত্রে মাওলানা আব্দুস সালাম আল-মাদানীর অবদান অপরিসীম। তিনি রাজশাহী মহিলা ফাজিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ১৯৭৯ সালে রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানায় এই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পেছনে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। তার প্রচেষ্টার ফলে রাজশাহীর নারীরা ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পেয়েছে।

মাওলানা আব্দুস সালাম আল-মাদানী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। তার সাথে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় আরও অনেক ব্যক্তি জড়িত ছিলেন, যেমন: মাওলানা মোহাম্মদ আশরাফ আলী (সরকারি ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের শিক্ষক), এইচ. এইচ. এম. সাঈদ এবং স্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমাতুন মুজাহিদ। স্থানীয় দাতাদের অর্থ সাহায্যে এই মাদ্রাসা গড়ে উঠে।

মাদ্রাসাটি প্রথমে ছোট পরিসরে শুরু হলেও বর্তমানে এটি বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে এবং ঢাকার ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যুক্ত। এখানে প্রায় ৪০০ ছাত্রী ১ম শ্রেণী থেকে আলিম পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহণ করে এবং কিছু ছাত্রী ফাজিল শ্রেণীতেও পড়াশোনা করে। মাদ্রাসাটি বিনা বেতনে শিক্ষা প্রদান করে এবং সরকার বিনামূল্যে বই সরবরাহ করে। ছাত্রীদের থাকা-খাওয়ার জন্য একটি লিল্লাহ বোর্ডিংও রয়েছে। মাদ্রাসার ফলাফল সাধারণতঃ উত্তীর্ণ হার শতভাগের কাছাকাছি থাকে।

মাওলানা আব্দুস সালাম আল-মাদানী একজন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ছিলেন এবং তাঁর নেতৃত্বে রাজশাহীর নারীদের জন্য ধর্মীয় শিক্ষার দরজা উন্মোচিত হয়েছে। তার এই অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • মাওলানা আব্দুস সালাম আল-মাদানী রাজশাহী মহিলা ফাজিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান ব্যক্তি ছিলেন।
  • তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।
  • ১৯৭৯ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
  • মাদ্রাসাটি বর্তমানে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীনে।
  • মাদ্রাসায় প্রায় ৪০০ ছাত্রী পড়াশোনা করে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - মাওলানা আব্দুস সালাম মাদানী

৯, ১০ ও ১১ জানুয়ারী ২০২৫

তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে তাফসীর পেশ করবেন।