ভোক্তা অধিকার অভিযান

বাংলাদেশে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের লক্ষ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর (DNCRP) এ প্রধান ভূমিকা পালন করে। ২০০৯ সালে ‘ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন’ পাশের পর অধিদপ্তর গঠিত হয়। এই অধিদপ্তরের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানের উদ্দেশ্য অসৎ ব্যবসায়ীদের দমন এবং ভোক্তাদের অধিকার সুরক্ষিত করা।

অভিযানের মূল লক্ষ্য হলো: অতিরিক্ত মূল্য নির্ধারণ, নকল পণ্য বিক্রি, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ এবং ভোক্তাদের প্রতারণা রোধ। অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বাজার তদারকি, মামলা দায়ের এবং জরিমানা আরোপের মাধ্যমে ভোক্তাদের অধিকার রক্ষার চেষ্টা করে। উদাহরণস্বরূপ, সিলেটে অভিযান চালিয়ে ৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

১৫ই মার্চ ২০২০ সালে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে ১৬১২১ নম্বরে একটি হটলাইন সেবা চালু করা হয়। এই সেবার মাধ্যমে ভোক্তারা অভিযোগ করতে পারে এবং আইন সম্পর্কে তথ্য পেতে পারে। অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (http://dncrp.com) এর মাধ্যমেও অভিযোগ দায়ের করা যায়।

ভোক্তা অধিকার অভিযানে শেখ বশিরউদ্দিন, মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, মোহাম্মদ আলীম আখতার খান, সহ অনেক কর্মকর্তা প্রশাসনিক ও তদারকি কাজে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। এছাড়াও, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস-এর মতো সংস্থাগুলি পরিকল্পনা ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করে। তবে, বিভিন্ন সময় অভিযানের কার্যকারিতা এবং ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণের পর্যাপ্ততা নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা থাকে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ২০০৯ সালে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন পাস
  • জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের গঠন
  • দেশব্যাপী বাজার তদারকি ও অভিযান
  • অসৎ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
  • ১৬১২১ নম্বরে হটলাইন সেবা চালু

গণমাধ্যমে - ভোক্তা অধিকার অভিযান