ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা: একটি বিশদ বিবরণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক এলাকা। এই উপজেলার আয়তন ২০৯.৭৬ বর্গ কিলোমিটার (৫১,৮৩২.৮ একর)। উত্তরে তিতাস নদী, আখাউড়া উপজেলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা, দক্ষিণে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা, পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা, এবং পশ্চিমে নবীনগর উপজেলা ও কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা অবস্থিত। তিতাস, সালদা, বিজনা, সিনাই, সাঙ্গুর, বুড়ি, রাজার খাল, অদের খাল, কালিয়ারা নদী কসবার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়। উপজেলার পূর্ব প্রান্তে লাল মাটির পাহাড়ী টিলা ভূমি রয়েছে।
জনসংখ্যা ও জনগোষ্ঠী:
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, কসবা উপজেলার জনসংখ্যা ছিল ৩,১৯,২২১ জন এবং পরিবার সংখ্যা ৬০,৯১৯টি। পুরুষের সংখ্যা ৪৭.৬% এবং মহিলার সংখ্যা ৫২.৪%। জনসংখ্যার ৪২.৪% শিশু (০-১৪ বছর)। ধর্মীয়ভাবে, ৯৫.৭% জনসংখ্যা মুসলিম এবং ৪.৩% হিন্দু। গড় সাক্ষরতার হার ৫০.৭%। প্রথম বিয়ের ক্ষেত্রে পুরুষের গড় বয়স ২৪.৪ বছর এবং মহিলার গড় বয়স ১৯.৮ বছর।
অর্থনীতি ও কৃষিকাজ:
উপজেলার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ কৃষিকাজের সাথে জড়িত। ধান, গম, এবং বিভিন্ন ধরনের সবজি এখানকার প্রধান ফসল। কাউন, আউস ও আমন ধান, পাট ও অড়হর ডাল লুপ্তপ্রায় অথবা ইতোমধ্যে লুপ্ত হয়ে গেছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা:
রেলপথে, মহানগর এক্সপ্রেস, চট্টলা এক্সপ্রেস, উপকূল এক্সপ্রেস এবং পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি কসবা রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি করে। তবে, সড়কপথের অবস্থা তেমন ভালো নয়। শহরে কোন বাস টার্মিনাল নেই।
উল্লেখযোগ্য স্থানসমূহ:
কসবা উপজেলায় অসংখ্য বাজার, মেলা, এবং ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কুটি বাজার, কসবা বাজার, নয়নপুর বাজার ইত্যাদি।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য:
শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের দিক থেকে কসবা উপজেলার উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। তবে, বিস্তারিত তথ্যের জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখুন।
ঐতিহাসিক ঘটনা:
মুক্তিযুদ্ধের সময় কসবা উপজেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। বিস্তারিত ঐতিহাসিক তথ্যের জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখুন।
(উল্লেখ্য: এই নিবন্ধে কসবা উপজেলার বিস্তারিত তথ্য দেওয়া সম্ভব হয়নি। আমরা আপনাকে আরও তথ্য দিয়ে এই নিবন্ধটি আপডেট করব যখনই আমাদের সম্পূর্ণ তথ্য প্রাপ্ত হবে।)