বাংলাদেশের আর্থিক খাতের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো এর ব্যাংক ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থায় বিভিন্ন ধরণের ব্যাংক কার্যক্রম পরিচালনা করে। এদের মধ্যে রয়েছে সরকারি ব্যাংক, বেসরকারি ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক এবং বিদেশি ব্যাংক।
সরকারি ব্যাংক: বাংলাদেশে বেশ কিছু সরকারি ব্যাংক রয়েছে যা সরকারের সম্পূর্ণ অথবা অধিকাংশ মালিকানায় পরিচালিত হয়। এদের মধ্যে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, জনতা ব্যাংক লিমিটেড, রূপালী ব্যাংক লিমিটেড, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, এবং বেসিক ব্যাংক লিমিটেড উল্লেখযোগ্য। এই ব্যাংকগুলি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে অর্থায়ন করে।
বেসরকারি ব্যাংক: বাংলাদেশে অসংখ্য বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে, যা ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, অথবা একটি গ্রুপ কর্তৃক পরিচালিত হয়। এদের মধ্যে অনেকগুলিই প্রথাগত ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে, আবার অনেকগুলি ইসলামী শরীয়াহ-ভিত্তিক ব্যাংকিংয়ের সাথে যুক্ত। এই ব্যাংকগুলির মধ্যে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে তাদের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।
বিশেষায়িত ব্যাংক: বিভিন্ন খাতের উন্নয়নের জন্য বিশেষায়িত ব্যাংক গঠন করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক কৃষিক্ষেত্রের উন্নয়নে অবদান রাখে।
বিদেশি ব্যাংক: বাংলাদেশে বিভিন্ন দেশের বিদেশি ব্যাংকের শাখাও রয়েছে, যারা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুবিধা প্রদান করে।
গ্রামীণ ব্যাংক: গ্রামীণ ব্যাংক একটি উল্লেখযোগ্য অ-তালিকাভুক্ত ব্যাংক যা ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। ২০০৬ সালে দারিদ্র্য বিমোচনে অবদান রাখার জন্য গ্রামীণ ব্যাংক এবং মুহাম্মদ ইউনূস যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
ব্যাংকের সংখ্যা: বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত ব্যাংকের সংখ্যা ৬০ এর অধিক এবং অ-তালিকাভুক্ত ব্যাংকের সংখ্যা সীমিত। তবে, এই সংখ্যা নিয়মিত পরিবর্তন হতে পারে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট দেখুন।