বিবাহিত জীবনের অশান্তি একটি জটিল বিষয় যার পেছনে একাধিক কারণ কাজ করে। এই লেখায় আমরা বিবাহিত জীবনে অশান্তির কিছু প্রধান কারণ ও সম্ভাব্য সমাধানের উপায় নিয়ে আলোচনা করবো।
আর্থিক অসংগতি: অর্থের অভাব বা অপচয়, আর্থিক পরিকল্পনার অভাব, অযথা ব্যয় ইত্যাদি কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি দেখা দিতে পারে। উভয়ের আর্থিক লক্ষ্য ও চাহিদার সমন্বয় সাধন এবং বাজেট তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ।
বাস্তবতাকে মেনে না নেওয়া: বিয়ের পরে একে অপরের অনেক অসঙ্গতি ধরা পড়ে। একে অপরের সীমাবদ্ধতা ও ভিন্নতা গ্রহণ করার মনোভাব গুরুত্বপূর্ণ। ছোট ছোট মতবিরোধকে বড় করে তোলা উচিত নয়।
ধর্মীয় শিক্ষার বাস্তব প্রয়োগের অভাব: ধর্মীয় শিক্ষা দাম্পত্য জীবনে শান্তি ও সহনশীলতা এনে দিতে পারে। ধৈর্য্য, ক্ষমা, এবং আত্মত্যাগের মূল্যবোধ অনুসরণ করা উচিত।
গীবত বা পরচর্চা: গীবত দাম্পত্য জীবনে বিশ্বাসের ঘাটতি এনে দিতে পারে। একে অপরের সম্মান ও গোপনীয়তা রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সন্তান সময়মত না নেওয়া: সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্মতির উপর নির্ভর করে। সন্তান নেওয়ার ব্যাপারে উভয়ের মতামত একই হওয়া জরুরি।
সম্পদের প্রতিযোগিতা: অর্থ বা সম্পদের প্রতি অযৌক্তিক লোভ দাম্পত্য জীবনে বিবাদের কারণ হতে পারে। সম্পদের প্রতি সমমনস্ক হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
সন্তানদেরকে বেশি সময় দেওয়া: সন্তানদের প্রতি অধিক মনোযোগের কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হতে পারে। স্বামী-স্ত্রীর জন্য আলাদা সময় বরাদ্দ করা গুরুত্বপূর্ণ।
একে অপরের সাথে তুলনা করা: অন্যদের সাথে তুলনা করা একে অপরের আত্মসম্মানে আঘাত হতে পারে। একে অপরের অনন্য গুণাবলী মূল্যায়ন করা গুরুত্বপূর্ণ।
স্বামী-স্ত্রীর মাঝে মনোমালিন্য বাইরের মানুষকে জানানো: বাইরের মানুষের হস্তক্ষেপ দাম্পত্য জীবনে বিবাদ বৃদ্ধি করতে পারে। নিজেদের মধ্যে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করা উচিত।
অভিভাবক বা পিতা-মাতার অনুমতি ব্যতীত বিয়ে: অভিভাবকের অনুমতি বিয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পরিবারের সমর্থন দাম্পত্য জীবনে শান্তি এনে দিতে পারে।
এই সকল কারণ বাদেও অনেক অন্যান্য কারণ বিবাহিত জীবনে অশান্তি নিয়ে আসতে পারে। তাই পরস্পরের প্রতি সম্মান, বিশ্বাস, আর সহযোগিতা দাম্পত্য জীবনে শান্তি এবং সুখের জন্য অপরিহার্য।