বিবাহ পরামর্শ

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪:২৭ পিএম

বিবাহ, ইসলামের দৃষ্টিতে একটি পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ বন্ধন। পবিত্র কুরআন ও হাদিসে বিবাহ সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশনা রয়েছে। ইসলামে বিবাহ হলো দুই প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম নারী-পুরুষের মধ্যে আইনসম্মত ও ধর্মীয় চুক্তি, যা তাদেরকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একত্রিত করে। এটি শারীরিক ও মানসিক চাহিদা পূরণ, নৈতিকতা বজায় রাখা এবং সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার একটি বৈধ উপায়।

বিবাহের মূল শর্ত হলো পাত্র-পাত্রীর সম্মতি, মেয়ের অভিভাবকের অনুমতি (ওয়ালি), এবং দুজন মুসলিম সাক্ষীর উপস্থিতি। মোহরানা (দেনমোহর) নির্ধারণ করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কনের সম্মতি ব্যতীত কোনো বিবাহ বৈধ নয়, এবং কুমারীর ক্ষেত্রে তার নীরবতাও সম্মতির পরিচায়ক।

ইসলামে বহুবিবাহের অনুমতি রয়েছে, তবে শর্ত হলো সকল স্ত্রীর প্রতি সমান ন্যায়বিচার করা। একাধিক বিবাহের বিষয়টি নারীদের অসম্মানের জন্য নয়, বরং সমাজের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য, যুদ্ধক্ষেত্রে পুরুষের মৃত্যুর পর নারীদের সুরক্ষার জন্য এবং নারীদের সমান অধিকার প্রদানের উদ্দেশ্যে।

বিবাহের আগে উভয় পক্ষেরই উচিত তাদের দায়িত্ব, অধিকার এবং ইসলামী শরীয়াহ সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন করা। তালাকের নিয়ম ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানাও গুরুত্বপূর্ণ।

ইসলাম বিবাহের পবিত্রতা ও গুরুত্বকে জোর দিয়ে বলেছে। পবিত্র কুরআন এবং হাদিসে বিবাহ সম্পর্কে অনেক আয়াত ও হাদিস রয়েছে, যা বিবাহের নিয়ম-কানুন, কর্তব্য-অধিকার, এবং দাম্পত্য জীবনের সুন্দরতা ব্যাখ্যা করে। প্রকৃতপক্ষে, বিবাহের মধ্য দিয়েই সমাজে নৈতিকতা ও শৃঙ্খলা বজায় থাকে এবং মানবজাতির বংশবৃদ্ধি ঘটে।

মূল তথ্যাবলী:

  • বিবাহ ইসলামে একটি পবিত্র বন্ধন
  • পাত্র-পাত্রীর সম্মতি ও অভিভাবকের অনুমতি অপরিহার্য
  • মোহরানা ধার্য করা আবশ্যক
  • দুজন মুসলিম সাক্ষীর উপস্থিতি
  • বহুবিবাহের শর্ত হল সকল স্ত্রীর প্রতি ন্যায়বিচার

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - বিবাহ পরামর্শ

২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

বিয়ের আগে দম্পতিদের স্বাধীনতা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন মালাইকা।