বিটিএমএ ও বিকেএমইএ: বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের দুই অগ্রণী সংগঠন
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের অভূতপূর্ব সাফল্যের পেছনে রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনের অবদান। এই সংগঠনগুলির মধ্যে দুটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) এবং বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)। উভয় সংগঠনই দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
বিটিএমএ (Bangladesh Textile Mills Association): বিটিএমএ হলো বাংলাদেশের সুতা প্রস্তুতকারক, বস্ত্রকল ও নির্মাতাদের প্রতিনিধিত্বকারী জাতীয় বণিক সমিতি। ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনটি ১৯৯৪ সালের কোম্পানী আইনানুসারে রেজিস্টার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ এন্ড ফার্মস্-এ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিবন্ধিত। এটি ২৭ জন সদস্যবিশিষ্ট একটি পরিচালক পর্ষদ দ্বারা পরিচালিত হয়, যারা দুই বছর মেয়াদে নির্বাচিত হন। বিটিএমএ বাংলাদেশে বস্ত্রকল আমদানির জন্য সার্টিফিকেট প্রদান করে এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সাথে যৌথভাবে জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছে। বিটিএমএ বেসরকারী খাতের অধীনে দেশের সুতা, সুতা প্রস্তুতকারক এবং টেক্সটাইল প্রোডাক্ট প্রসেসর মিলের প্রতিনিধিত্বকারী জাতীয় বাণিজ্য সংস্থা।
বিকেএমইএ (Bangladesh Knitwear Manufacturers and Exporters Association): বিকেএমইএ বাংলাদেশে নিটওয়্যার প্রস্তুতকারকদের একটি জাতীয় বাণিজ্য সংস্থা, যেটি বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত। ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বিকেএমইএ বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পকে সম্প্রসারিত করছে এমন সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম। এই সংগঠনটি সরকার ও শ্রমিক সংগঠনগুলিকে এই শিল্পের জন্য নীতিমালা নির্দেশিকা তৈরিতে সহায়তা করে। বিকেএমইএর নিজস্ব গবেষণা ইউনিট এবং শিশুশ্রম দূরীকরণের কর্মসূচী রয়েছে। তারা পোশাক তৈরির কারখানায় শ্রমের অবস্থার উন্নতি করতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের সাথে কাজ করে।
বিটিএমএ ও বিকেএমইএ'র যৌথ কর্মকাণ্ড: উভয় সংগঠনই প্রায়শই যৌথভাবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের উন্নয়নের জন্য কাজ করে। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রসঙ্গে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, বিটিএমএ ও বিকেএমইএ বিজিএমইএ'র সাথে যৌথভাবে বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন করেছে, যেখানে তারা সরকারের নিকট উৎসে কর হ্রাস, নীতিগত সহায়তা প্রদান এবং অন্যান্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ দাবি উত্থাপন করেছে।
উল্লেখ্য: উপরোক্ত তথ্যগুলি বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদন ও প্রকাশিত তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। বিটিএমএ এবং বিকেএমইএ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য সংশ্লিষ্ট সংগঠনের ওয়েবসাইট বা প্রকাশনাগুলিতে যোগাযোগ করা যেতে পারে।