বিজয় একাত্তর হল

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২:২৩ এএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল: মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জ্বল একটি স্থাপনা

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল, শুধুমাত্র একটি ছাত্রাবাস নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বহনকারী একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা। ৫৮ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই হলটি ৬.২৪ একর জমির উপর অবস্থিত। ২০১০ সালের ৩০ জুন নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক উদ্বোধন করা হয়।

এই হলটি সকল ধর্মের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯তম হল হিসেবে এর নির্মাণশৈলীতে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ইতিহাস-ঐতিহ্যকে নান্দনিকভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তিনটি ব্লক (পদ্মা, মেঘনা, যমুনা) বিভক্ত এই হলে ২৫০টি আবাসিক কক্ষ রয়েছে। মেঘনা ব্লকটি সার্ভিস ব্লক নামে পরিচিত, এখানে মসজিদ, অডিটোরিয়াম, পত্রিকা পাঠকক্ষ, পাঠাগার, ক্যান্টিন ও ডাইনিং হল রয়েছে। হলটিতে ছাত্র সংসদ কক্ষ, কম্পিউটার ল্যাব, কাউন্সিলিং কক্ষ, শরীরচর্চা কক্ষ, অতিথি কক্ষ, আধুনিক লিফট, সেলুন ও লন্ড্রি, ফটোকপি ও দোকান, এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ৪টি আবাসিক কক্ষ রয়েছে।

বিজয় একাত্তর হলের প্রবেশদ্বারে মহান মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ৭টি সুড়ঙ্গের মাধ্যমে ৭জন বীরশ্রেষ্ঠ এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ৭টি ধারাবাহিক আন্দোলনের ইতিহাস বহন করে। লাল ইটের ব্যবহারের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বিজয়কে তুলে ধরা হয়েছে। হলের মাঝখানে একটি সুন্দর বাগান রয়েছে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) হলের নকশা প্রণয়ন করেছে এবং এর স্থপতি ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল আমিন। হলের প্রথম প্রাধ্যক্ষ ছিলেন অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া এবং বর্তমান প্রাধ্যক্ষ হলেন অধ্যাপক ড. স ম আলী রেজা। হলটির আকার, কক্ষ ও শিক্ষার্থী সংখ্যার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি; আমরা আপনাকে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে আপডেট করব যখন তাই আমাদের কাছে উপলব্ধ হবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • বিজয় একাত্তর হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯তম ছাত্রাবাস।
  • এটি ২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর উদ্বোধন করা হয়।
  • হলটি সকল ধর্মের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত।
  • মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধারণ করে হলটি নির্মিত হয়েছে।
  • এতে ২৫০টি আবাসিক কক্ষ রয়েছে।
  • অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল আমিন হলটির স্থপতি।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।