ঢাকার "বলাকা": একাধিক অর্থে একটি নাম
"বলাকা" নামটি ঢাকা শহরের প্রেক্ষিতে একাধিক প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনাকে নির্দেশ করতে পারে, যা কিছুটা বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারে। এই নিবন্ধে আমরা ঢাকার প্রেক্ষাপটে "বলাকা" নামের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার তথ্য উল্লেখ করার চেষ্টা করবো।
১. মৃণাল হকের বলাকা ভাস্কর্য:
ঢাকার মতিঝিলে, বাংলাদেশ বিমানের পুরনো প্রধান কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত ছয়টি বলাকার ভাস্কর্য শিল্পী মৃণাল হকের একটি বিখ্যাত কর্ম। ১৯৮৯ সালে নির্মিত এই ভাস্কর্যে ছয়টি নবজাতক বলাকা আকাশের দিকে তাকিয়ে উড়ে যাওয়ার ইচ্ছার প্রতীক হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে। সবচেয়ে লম্বা বলাকার দৈর্ঘ্য ৪১ ফুট। ২০০৮ সালের ২৮ নভেম্বর দুষ্কৃতিকারীদের হামলার শিকার হয় এই ভাস্কর্য, পরে সংস্কার করা হয়।
২. বলাকা কমিউটার ট্রেন:
বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিচালিত একটি যাত্রীবাহী ট্রেন হল বলাকা কমিউটার (ট্রেন নম্বর ৪৯/৫০)। জারিয়া ঝাঞ্জাইল থেকে ঢাকা যাত্রাপথে ময়মনসিংহ ও গাজীপুর জেলাকে সংযুক্ত করে এই ট্রেন। ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে। মিটারগেজ রেলপথে চলাচল করে এবং গৌরীপুর, ময়মনসিংহ, গাজীপুর হয়ে ঢাকা পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করে।
৩. বলাকা সিনেওয়ার্ল্ড:
ঢাকার নিউ মার্কেটে অবস্থিত একটি প্রাচীন চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহ হল বলাকা সিনেওয়ার্ল্ড (পূর্বের নাম বলাকা সিনেমা হল)। ১৯৫১ সালের ২৭ আগস্ট এম এ হাসান দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এই প্রেক্ষাগৃহ ২০২০ সালের মার্চে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বন্ধ হয়ে যায় এবং ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে পুনরায় চালু হয়। প্রেক্ষাগৃহটিতে ১০১১টি আসন রয়েছে এবং প্রতিদিন চারটি শো অনুষ্ঠিত হয়। এটি ঢাকার অন্যতম আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহ।
অন্যান্য তথ্য:
উপরোক্ত তিনটি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও, "বলাকা" নামটি অন্যান্য প্রসঙ্গে ব্যবহৃত হতে পারে। যেমন, ১৯৫৮ সালে বাংলাদেশে আনা রাশিয়ার তৈরি একটি যাত্রীবাহী বিমানের নাম ছিল "বলাকা"। তবে এইসব প্রসঙ্গ ঢাকার সাথে সরাসরি সম্পর্কিত নয়। আমরা ভবিষ্যতে আরও তথ্য সংযোজন করে এই লেখাটি সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করবো।