ফ্লোরিডা, যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্য, যা এর সুন্দর সৈকত, উষ্ণ আবহাওয়া এবং বিনোদনমূলক স্থানের জন্য বিখ্যাত। প্রায় ২২ মিলিয়ন জনসংখ্যার সাথে, এটি তৃতীয় জনবহুল এবং আয়তনে ২২তম বৃহৎ রাজ্য। ১৫১৩ সালে স্প্যানিশ অনুসন্ধানকারী জুয়ান পোনস দে লিয়ন প্রথম ফ্লোরিডায় পৌঁছান এবং এটিকে 'লা ফ্লোরিডা' নামকরণ করেন। ইউরোপীয় উপনিবেশিকরণের পর ফ্লোরিডা স্পেন এবং ব্রিটেনের অধীনে ছিল। ১৮৪৫ সালের ৩ মার্চ, এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৭তম রাজ্য হিসাবে যোগদান করে।
ফ্লোরিডার ভৌগোলিক অবস্থান মেক্সিকো উপসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর এবং ফ্লোরিডা প্রণালীর মধ্যবর্তী। উত্তরে জর্জিয়া ও অ্যালাবামা এবং পশ্চিমে অ্যালাবামার সাথে এর সীমানা রয়েছে। রাজ্যটি সমতল এবং মিঠা পানির হ্রদ, নদী ও বনভোজনস্থল সমৃদ্ধ। আবহাওয়া উত্তরের উপক্রান্তীয় থেকে দক্ষিণে ক্রান্তীয় পর্যন্ত বিস্তৃত।
ফ্লোরিডার অর্থনীতি পর্যটন, কৃষি, এবং পরিবহণের উপর নির্ভরশীল। এটি বিনোদন উদ্যান (যেমন ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ড), কমলা চাষ, শীতের শাকসবজি, কেনেডি স্পেস সেন্টার এবং অবসরপ্রাপ্তদের জন্য জনপ্রিয় গন্তব্য। এই রাজ্যের অর্থনীতি বিশ্বের ১৬তম বৃহৎ অর্থনীতির সমতুল্য।
ফ্লোরিডার সংস্কৃতি বহুজাতিক। এখানে আফ্রিকান, ইউরোপীয়, আদিবাসী, লাতিনো ও এশীয় ঐতিহ্য মিশে আছে। ফ্লোরিডা মার্জারি কিন্নান রাওলিংস, আর্নেস্ট হেমিংওয়ে এবং টেনেসি উইলিয়ামস-এর মতো বিখ্যাত লেখকদের আকর্ষণ করেছে। ফ্লোরিডার জনসংখ্যার প্রায় ২৫% হিস্পানিক জনগোষ্ঠীর।
উল্লেখযোগ্য স্থানের মধ্যে রয়েছে মায়ামি, অরল্যান্ডো, টাম্পা, জ্যাক্সনভিল, টালাহাসি (রাজধানী), কেনেডি স্পেস সেন্টার এবং এভারগ্লেডস জাতীয় উদ্যান। ফ্লোরিডা তার সুন্দর সৈকত, উষ্ণ আবহাওয়া, বিনোদনমূলক স্থান, এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতির জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য।