বাংলাদেশের বিভিন্ন নদীতে অবস্থিত ফেরিঘাটগুলিতে কর্মরত কর্মকর্তাদের কাজের ধরণ ও দায়িত্বের বিষয়টি বেশ জটিল ও বহুমুখী। একক কোনো সংজ্ঞায় তাদের কাজের বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, ফেরিঘাট কর্মকর্তা বলতে বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা, যেমন- ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য), উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য), সহ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য), সহ-ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য), অপারেশন অফিসার, এ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (কমার্স), দায়িত্বরত কর্মকর্তা, ম্যানেজার (কমার্স) ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। তাদের দায়িত্ব সাধারণত ফেরিঘাটের দৈনন্দিন পরিচালনা, টিকিট বিক্রয়, যানবাহন এবং যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ, নাব্যতা নিরীক্ষণ, গাড়ি বুকিং, নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়াদি দেখাশুনা করা, ঘাটের অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ, আরো অনেক বিষয় নিরীক্ষণ ও তত্ত্বাবধান করা। উল্লেখ্য, বিভিন্ন ফেরিঘাটের কর্মকর্তাদের দায়িত্বের পরিসর একই হলেও পদমর্যাদার ভিন্নতার কারণে তাদের কাজের ভিন্নতা থাকতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একজন ব্যবস্থাপক একজন অপারেশন অফিসারের চেয়ে বেশি দায়িত্ব বহন করেন।
প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, কয়েকজন ফেরিঘাট কর্মকর্তার নাম ও যোগাযোগ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে জনাব শাহ মোঃ খালেদ নেওয়াজ (উপ-মহাব্যবস্থাপক, বাণিজ্য), জনাব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন (ব্যবস্থাপক, বাণিজ্য), জনাব মোঃ শিহাব উদ্দিন (ব্যবস্থাপক, বাণিজ্য), জনাব মোঃ ফয়সাল আলম চৌধুরী (সহ-মহাব্যবস্থাপক, বাণিজ্য), জনাব কাজী জাহিদুল হক (সহ-ব্যবস্থাপক, বাণিজ্য), জনাব পারভেজ খান (ম্যানেজার, কমার্স), জনাব আবু আব্দুল্লাহ (দায়িত্বরত কর্মকর্তা), জনাব মোঃ ইকবাল হোসেন (এ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার, কমার্স), জনাব কাওছার আহমেদ খান (ম্যানেজার, কমার্স) উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানের ফেরিঘাটের অপারেশন অফিসারদের যোগাযোগ নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। এই তথ্য নির্দিষ্ট ঘাটের কার্যক্রম সম্পর্কে জানার জন্য উপযোগী।
প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, বিআইডব্লিউটিসি (বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন) এই ফেরিঘাটগুলির সঙ্গে জড়িত। আরিচা/পাটুরিয়া, দৌলতদিয়া, পাটুরিয়া, শিমুলিয়া (মাওয়া), শিমুলিয়া - বাংলাবাজার/মাঝিকান্দি, হরিণা (চাঁদপুর), লক্ষ্মীপুর, ইলিশা (ভোলা), আরিচা-কাজিরহাট, শরীয়তপুর (আলুবাজার), লাহারহাট সহ বিভিন্ন স্থানে ফেরিঘাট অবস্থিত যা বিআইডব্লিউটিসির তত্ত্বাবধানে চলে। বিভিন্ন ঘটনায় (যেমন নাব্যতা সংক্রান্ত সমস্যা) এই কর্মকর্তাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তবে, আরও বিস্তারিত তথ্য প্রয়োজন একটি পূর্ণাঙ্গ লেখা লিখতে।