যশোরের ঝিকরগাছার পানিসারা, হাড়িয়া ও শরীফপুর: ফুলের সমারোহের কেন্দ্রবিন্দু
বাংলাদেশের ফুলের রাজধানী হিসেবে খ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পানিসারা, হাড়িয়া ও শরীফপুর অঞ্চল দেশের ফুলের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই তিনটি এলাকা মিলে বিশাল ফুলের ক্ষেতের সমাহার তৈরি করেছে, যা দর্শনার্থী ও পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়।
অবস্থান ও ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য: পানিসারা, হাড়িয়া ও শরীফপুর ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী অঞ্চলে অবস্থিত। এসব এলাকা মূলত সমতল ভূমি, যা ফুল চাষের জন্য উপযুক্ত।
জনসংখ্যা ও অর্থনীতি: এই তিনটি গ্রামে বহু সংখ্যক পরিবার ফুল চাষের সাথে জড়িত। ফুল চাষই এখানকার অর্থনীতির মেরুদণ্ড। বিভিন্ন উৎসব ও অনুষ্ঠানের সময় এখানে ফুলের চাহিদা বেড়ে যায়, ফলে চাষিরা বেশি লাভবান হন।
ফুলের উৎপাদন: এখানে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল যেমন গোলাপ, গ্লাডিওলাস, জারবেরা, রজনীগন্ধা, চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা ইত্যাদি চাষ করা হয়। বিশেষ করে, ১৬ ডিসেম্বর, ইংরেজি নববর্ষ, ভালোবাসা দিবস, মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস এবং বাংলা নববর্ষের মত দিবসগুলিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ফুল সরবরাহ হয় এখান থেকে।
বাজার: যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের গদখালী বাজারে এই এলাকার ফুলচাষিরা তাদের পণ্য বিক্রি করে থাকেন। এই বাজার থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফুল যায়।
পর্যটন: গদখালীর পানিসারা-হাড়িয়া মোড় ফুল কানন হিসাবে পরিচিত। প্রতিদিন হাজারো মানুষ এখানে ঘুরতে আসেন। এখানে আধুনিক রেস্টুরেন্ট এবং বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। ফলে জমির দাম বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ঐতিহাসিক তথ্য: ২০০৮ সালে লিটন হোসেন প্রথম পানিসারা-হাড়িয়া মোড়ে ফুল বিক্রি শুরু করেন। এখন সেখানে প্রায় দেড়শ ফুলের দোকান আছে।