পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল: চাহিদা ও বাস্তবতা
প্রায় ১০ লাখ জনসংখ্যার উত্তরাঞ্চলীয় জেলা পঞ্চগড়ের একমাত্র বড় হাসপাতাল হলো ১০০ শয্যার আধুনিক সদর হাসপাতাল। জেলা শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এই হাসপাতালটিতে শয্যা ও চিকিৎসক সংকট রয়েছে। বর্তমানে ২৫০ শয্যার নতুন ভবন নির্মাণ করা হলেও, সেটি এখনও হস্তান্তর হয়নি।
শয্যা ও চিকিৎসক সংকট: বর্তমানে হাসপাতালটিতে মাত্র ১০০টি শয্যা রয়েছে, যা প্রতিদিন ৪০০-৫০০ বহির্বিভাগের এবং ২০০-২৫০ আন্তঃবিভাগের রোগীর চাহিদা পূরণ করতে পর্যাপ্ত নয়। অধিকাংশ সময় শতাধিক রোগীকে মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হয়। ৩৬ জনের মধ্যে মাত্র ১২ জন চিকিৎসক কর্মরত আছেন, যা চিকিৎসা সেবায় ব্যাপক দুর্ভোগের কারণ।
নতুন ভবন: প্রায় ৫৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১৫০ শয্যার নতুন ভবনটি ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে নির্মাণ কাজ শুরু হলেও ২০২৪ সাল পর্যন্ত হস্তান্তর করা হয়নি। ঢাকার মার্ক বিল্ডার্স লিমিটেডসহ ছয়টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই ভবন নির্মাণের সাথে জড়িত ছিল। গণপূর্ত বিভাগ জানিয়েছে যে, কিছু কাজ শেষ হয়নি বলেই হস্তান্তর দেরি হচ্ছে।
রোগীদের অভিযোগ: রোগীদের অভিযোগ, শয্যা সংকটের কারণে বহু রোগীকে বারান্দায় মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। চিকিৎসক সংকটের কারণে প্রত্যাশিত চিকিৎসা সেবাও তারা পাচ্ছেন না।
চিকিৎসক সংকট: জেলা সদর ও উপজেলা হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকের প্রচুর ঘাটতি রয়েছে। মোট ১৭০টি পদের বিপরীতে মাত্র ৪৪ জন চিকিৎসক কর্মরত। বিভিন্ন বিভাগে, যেমন সার্জারী, মেডিসিন, চক্ষু, অর্থোপেডিক্স ইত্যাদিতে চিকিৎসকের প্রচুর অভাব রয়েছে। বদলি হওয়া চিকিৎসকরা কয়েক মাসের মধ্যে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: ২৫০ শয্যার নতুন ভবনটি চালু হলে শয্যা ও চিকিৎসক সংকট কিছুটা হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে পর্যাপ্ত জনবল ও সরঞ্জামাদির প্রয়োজন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে এই বিষয়ে চাহিদা জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য: লেখাটি প্রাপ্ত তথ্যের উপর নির্ভর করে লেখা হয়েছে। আগামীতে আরও তথ্য প্রাপ্ত হলে লেখাটি আপডেট করা হবে।