নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার ইতিহাস, ভৌগোলিক অবস্থান, জনসংখ্যা, অর্থনীতি এবং ঐতিহাসিক ঘটনা সমৃদ্ধ এক উপজেলা। উত্তরে দুর্গাপুর ও ধোবাউড়া, দক্ষিণে ময়মনসিংহের গৌরীপুর, পূর্বে নেত্রকোণা সদর এবং পশ্চিমে ময়মনসিংহের ফুলপুর ও গৌরীপুর উপজেলার সীমানা ঘেঁষে অবস্থিত এই উপজেলা। প্রায় ৩০৮.০৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই উপজেলায় বর্তমানে ১১টি ইউনিয়ন রয়েছে। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী পূর্বধলার জনসংখ্যা ছিল ৩,১০,৮৩৪ জন। এখানকার অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। ধান, পাট, গম, তিল ছাড়াও শাক-সবজি ও মৎস্য চাষ উল্লেখযোগ্য। অসংখ্য ছোট ও মাঝারি আকারের ক্ষুদ্র শিল্পও এখানে গড়ে উঠেছে। পূর্বধলার উল্লেখযোগ্য নদী হল কংস, ধলাই, সোয়াই, লাউয়ারী এবং বিল হল রাজধলা, কুমা, হলিদা ইত্যাদি। ১৯১৭ সালের ২১শে আগস্ট পূর্বধলা থানা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৩ সালে থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। ঐতিহাসিকভাবে, পূর্বধলা একসময় সুসঙ্গ পরগনার অংশ ছিল এবং ঘাগড়া, বাঘবেড়, নারায়ণডহর প্রভৃতি জমিদারদের শাসনাধীন ছিল। ১৭৯২ সালে লেটিরকান্দা গ্রামে পাগলপন্থী মতাদর্শের জনক করম শাহ ও তার পুত্র টিপু শাহ বসতি স্থাপন করেছিলেন এবং এখান থেকে বিদ্রোহ পরিচালনা করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সংঘর্ষ ঘটেছিল পূর্বধলায়। উল্লেখযোগ্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হলো মুঘল আমলে নির্মিত সুনাইকান্দা ও লেটিরকান্দা মসজিদ, হোগলার প্রাচীন মন্দির, বাঘবেড় ও নারায়ণডহর জমিদার বাড়ি। পূর্বধলার শিক্ষার হার ৮০%। আরও তথ্য পাওয়া গেলে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
নেত্রকোনার পূর্বধলা
আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯:৪৩ পিএম
মূল তথ্যাবলী:
- পূর্বধলা নেত্রকোণা জেলার একটি উপজেলা
- ১৯১৭ সালে থানা, ১৯৮৩ সালে উপজেলা হিসেবে গঠিত
- কৃষি নির্ভর অর্থনীতি
- কংস, ধলাই, সোয়াই, লাউয়ারী নদী অবস্থিত
- ঐতিহাসিক পাগলপন্থী বিদ্রোহের সাথে সম্পৃক্ত
- মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সংঘর্ষ
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।