নামাজের দোয়া

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

মহান আল্লাহর কাছে নামাজের মাধ্যমে প্রার্থনা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। নামাজের নির্দিষ্ট দোয়ার বাইরেও আল্লাহর কাছে অন্যান্য দোয়া করা জায়েজ কিনা তা নিয়ে আলেমদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। হাদিস অনুসারে, নামাজের সময় বিভিন্ন ধরণের দোয়া পাঠ করা জায়েজ, তবে হানাফি মাজহাব অনুসারে জাগতিক, মানুষের কথার সাথে মিলে যায় এমন দোয়া (যেমন, বিবাহের জন্য দোয়া) নামাজ ভঙ্গ করে। নামাজে মানুষের কথার সাথে মেলেনা এমন পার্থিব ও অপার্থিব দোয়া করা জায়েজ। রাসুল (সা.) বিভিন্ন সময়ে নামাজে যেসব দোয়া পাঠ করেছেন, সেগুলো মুস্তাহাব হিসেবে পড়া যায়, তবে ফরজ নামাজে নয়। ফকিহ আলেমদের মতে, ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নত নামাজের শেষ বৈঠকে দরুদ পাঠের পর কোরআন-হাদিসে বর্ণিত দোয়া পাঠ করা যায়, একাধিকবার একই দোয়া পড়া যায়। সিজদা, রুকু, দুই সিজদার মধ্যে এবং সালাম ফেরানোর আগে দোয়া করার উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। ইমামের নির্দিষ্ট দোয়ার বাইরে অন্য দোয়া পড়া অসুস্থ ও অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য কষ্টকর হতে পারে বলে ইমামদেরকে অন্য দোয়া পড়া থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত করা হয়। নামাজের ভেতর দোয়া করার উত্তম সময় হলো সিজদা, সালাম ফেরানোর আগে এবং বিতরের নামাজে কুনুতের সময়। লেখায় রুকু ও সিজদার দোয়া, রুকু থেকে উঠার পরের দোয়া, সিজদার দোয়া, দুই সিজদার মধ্যে দোয়া এবং সালাম ফেরানোর আগের দোয়ার উল্লেখ আছে। 'নামাজে পঠিতব্য দোয়া ও তাসবিহ' শীর্ষক প্রবন্ধ (প্রকাশিত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০) এ বিষয়ে আরও জানা যাবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • নামাজে নির্দিষ্ট দোয়ার বাইরেও দোয়া করা জায়েজ।
  • জাগতিক দোয়া ফরজ নামাজে নামাজ ভঙ্গ করে।
  • রাসুল (সা.) এর পাঠিত দোয়া মুস্তাহাব।
  • সিজদা, সালামের আগে, কুনুতের সময় দোয়া করার উত্তম সময়।
  • ইমামদের অতিরিক্ত দোয়া পড়া থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত করা হয়।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - নামাজের দোয়া

নামাজের সময় কোন ধরণের দোয়া পড়া জায়েজ এবং কোনটি নয়, সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।