নবায়নযোগ্য জ্বালানি: ভবিষ্যতের শক্তির উৎস
বিশ্বব্যাপী জীবাশ্ম জ্বালানির নিঃশেষ হওয়ার আশঙ্কা এবং পরিবেশ দূষণের ভয়াবহতায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির গুরুত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জলবিদ্যুৎ, জৈব জ্বালানি ইত্যাদি নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস। এই প্রতিবেদনে আমরা বিশেষভাবে জৈব জ্বালানির উপর আলোকপাত করব।
জৈব জ্বালানি (বায়োফুয়েল): উদ্ভিদ, প্রাণীজ পদার্থ এবং অণুজীব থেকে জৈবিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উৎপন্ন জ্বালানি। কৃষিপণ্যের বর্জ্য, শিল্প বর্জ্য, এমনকি গৃহস্থালীর বর্জ্য থেকেও জৈব জ্বালানি উৎপাদন করা সম্ভব। কর্ন ইথানল, বায়োডিজেল, এবং বায়োগ্যাস হল এর কিছু উদাহরণ। জৈব জ্বালানি উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় তাপরাসায়নিক, রাসায়নিক এবং জৈব রাসায়নিক রূপান্তর ব্যবহৃত হয়। তাপরাসায়নিক রূপান্তর প্রক্রিয়ায় গ্যাসিফায়ার নামক যন্ত্রে উচ্চ তাপমাত্রা ও চাপে জৈব বস্তু প্রক্রিয়াজাত করা হয়। বায়োডিজেল উৎপাদনে ট্রান্স-এস্টারিফিকেশন প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়, যেখানে উদ্ভিজ্জ তেল বা পশুর চর্বি ফ্যাটি অ্যাসিড মিথাইল এস্টারে রূপান্তরিত হয়। ইথানল উৎপাদনে গাঁজন প্রক্রিয়া এবং বায়োগ্যাস উৎপাদনে অক্সিজেন বিহীন প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়।
বায়োগ্যাস (বা বায়োমিথেন): সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, অ্যানেরোবিক ডাইজেস্টার, দুগ্ধ ও গবাদি পশুর খামার, এবং পৌরসভা সংগ্রহকৃত কঠিন বর্জ্য থেকে উৎপাদিত হয়। এটি জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে ব্যবহার করা সম্ভব।
উপসংহার:
জীবাশ্ম জ্বালানির উপর আমাদের নির্ভরতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। জৈব জ্বালানি পরিবেশবান্ধব এবং টেকসই শক্তির একটি উল্লেখযোগ্য উৎস। তবে এর উৎপাদন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে সঠিক পরিকল্পনা এবং প্রযুক্তি ব্যবহার অপরিহার্য।