নববধূর সাজ – একটি আধুনিক ও ঐতিহ্যবাহী সংমিশ্রণ
বিয়ের পর নববধূর সাজ নিয়ে নানা ধারণা ও রীতিনীতি প্রচলিত আছে। আধুনিক যুগে নববধূরা ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতির সাথে আধুনিকতার মিশ্রণ ঘটিয়ে নিজেদের সাজে নতুনত্ব যোগ করছে। এই প্রতিবেদনে নববধূর সাজের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হলো।
গয়না:
নববধূর সাজে গয়নার গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু আজকাল ভারী গয়নার চেয়ে হালকা ও সুন্দর ডিজাইনের গয়না বেশি জনপ্রিয়। কনক দা জুয়েলারি প্যালেসের স্বত্বাধিকারী লায়লা খায়েরের মতে, ব্যক্তিত্ব, ঐতিহ্য ও স্বস্তিকে মাথায় রেখে গয়না নির্বাচন করা উচিত। ঘরোয়া অনুষ্ঠানের জন্য চিকন চোকার, মুক্তার হার, পেন্ডেন্ট, কয়েক গাছি চুড়ি, বালা, নথ, নূপুর ইত্যাদি পরা যায়। রাতের দাওয়াতে নানা নকশার বালা, বাউটি, মুগ বালা, হাতভর্তি চুড়ি, সরু হার, কানের দুল ইত্যাদি ব্যবহার করা যায়। সোনার পাশাপাশি গোল্ড প্লেটেড গয়না, অক্সিডাইজড বা অ্যান্টিক পলিশের গয়নাও বেশ মানায়।
মেকআপ:
রূপ বিশেষজ্ঞ নুজহাত খানের মতে, ঘরোয়া পরিবেশে কাজল, লিপস্টিক ও হালকা পাউডারেই নববধূর সাজ সম্পূর্ণ করা যায়। আত্মীয়স্বজনের বউ দেখার জন্য সাজে একটু ভিন্নতা আনা যায়। বিবি ক্রিম, ফেস পাউডার, আইশ্যাডো, কাজল বা আইলাইনার, মাস্কারা ও লিপস্টিক ব্যবহার করা যেতে পারে। চুল খোলা রাখা, হাতখোপা করা, বা একপাশে এলোমেলো বেণি বানানো যায়। ট্রেন্ডি লুকের জন্য চুল কোঁকড়া করে ছাড়া বা খোপা বেঁধে নেওয়া যায়। রাতের অনুষ্ঠানের জন্য চোখের সাজে কপার বা সোনালি আইশ্যাডো, গাঢ় বাদামি আইশ্যাডো ও শিমার ব্যবহার করা যায়। ঠোঁটে লাল, গোলাপি বা কমলা রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করা যায়। চুলে পছন্দের ফুল গুঁজে একটু ভিন্নতা আনা যায়।
শাড়ি:
নববধূর সাজের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো শাড়ি। মিরপুর ১০-এর বেনারসি পল্লীর দোকানিদের মতে, সরু পাড়ের, কম কাজের চমৎকার নকশার বেনারসি কাতান বা কাতান সিল্ক শাড়ি নববধূদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এই ধরণের শাড়ি পরতে আরামদায়ক ও সহজ। লাল, কমলা, গোলাপি, টিয়া, আসমানি রঙের শাড়ি বেশি পছন্দ করা হয়। শাড়ির যত্ন নেওয়ার ব্যাপারেও কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উপসংহার:
আধুনিক নববধূরা ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশ্রণ ঘটিয়ে নিজস্ব স্টাইলে সাজে নিজেদের সুন্দর করে তুলছে। স্বস্তি, সৌন্দর্য ও ব্যক্তিত্বকে প্রাধান্য দিয়ে সাজ নির্বাচন করলেই সবচেয়ে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।