দেলোয়ার জাহান ঝন্টু

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

দেলোয়ার জাহান ঝন্টু: বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের এক অমূল্য সম্পদ

দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বাংলাদেশী চলচ্চিত্র জগতের একজন কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব। চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, গীতিকবি, সুরকার, চিত্রনাট্যকার, কাহিনীকার, চলচ্চিত্র সম্পাদক, চিত্রগ্রাহক, সঙ্গীত পরিচালক এবং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা - এই একাধিক পরিচয় নিয়ে তিনি বাংলা চলচ্চিত্রকে সমৃদ্ধ করেছেন। তার কর্মজীবনের প্রায় চার দশক ধরে তিনি ৭৬টিরও অধিক চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন এবং সাড়ে তিন শতাধিক চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখেছেন। এই অসাধারণ অবদানের জন্য তিনি বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের ইতিহাসে স্বতন্ত্র স্থান অধিকার করে আছেন।

তার পরিচালনায় আত্মপ্রকাশ ঘটে ‘লিডার’ চলচ্চিত্র দিয়ে। ১৯৭৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বন্দুক’ ছিল তার পরিচালিত প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র। পরে তিনি ‘শিমুল পারুল’, ‘প্রেমগীত’, ‘হারানো প্রেম’, ‘ঝিনুকমালার প্রেম’, ‘বউমা’, ‘সকাল-সন্ধ্যা’, ‘পালকি’, ‘জজ ব্যারিস্টার’, ‘মুজাহিদ’, ‘হাতি আমার সাথী’, ‘কন্যাদান’, ‘রূপসী নাগিন’, ‘নাচে নাগিন’, ‘রূপের রানী গানের রাজা’, ‘বিষে ভরা নাগিন’, ‘হেডমাস্টার’, ‘সবাই তো ভালবাসা চায়’ সহ অসংখ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। ২০২৩ সালে মুক্তি পায় তার সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘সুজন মাঝি’। ‘গরিবের রাজা’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন।

দেলোয়ার জাহান ঝন্টু শুধু একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা নন, তিনি একজন সৃজনশীল প্রতিভার অধিকারী। তার অবদান বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের ইতিহাসে স্মরণীয় থাকবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • দেলোয়ার জাহান ঝন্টু ৭৬টির অধিক চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন।
  • তিনি সাড়ে তিন শতাধিক চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখেছেন।
  • ‘গরিবের রাজা’ চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন।
  • বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি ছিলেন।
  • তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।