থিয়া বয়সন

আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩:৩৩ পিএম

থিয়া: চাঁদের উৎপত্তির রহস্যময় গ্রহ

প্রাচীন সৌরজগতে থিয়া নামক একটি গ্রহের অস্তিত্বের কথা অনুমান করা হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন বছর আগে এই থিয়া গ্রহের সাথে পৃথিবীর মহাজাগতিক সংঘর্ষের ফলে চাঁদের সৃষ্টি হয়েছিল। এই তত্ত্বকে বলা হয় ‘দ্য জায়ান্ট ইম্প্যাক্ট হাইপোথিসিস’।

থিয়া ছিল মঙ্গল গ্রহের সমান আকারের একটি গ্রহ, যার ব্যাস ছিল প্রায় ৬,১০২ কিলোমিটার। ধারণা করা হয়, এটি পৃথিবী-সূর্য্য ব্যবস্থার L4 বা L5 লেগ্রাঞ্জ পয়েন্টে অবস্থান করত। শুক্র গ্রহের মহাকর্ষীয় প্রভাবের কারণে থিয়া পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষের পথে চলে আসে।

সংঘর্ষের পর, থিয়ার কিছু অংশ পৃথিবীতে মিশে যায়, আবার কিছু অংশ মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ে। এই ছড়িয়ে পড়া ধ্বংসাবশেষ পরবর্তীতে একত্রিত হয়ে চাঁদের সৃষ্টি করে। এই তত্ত্বের সমর্থনে, পৃথিবীর নিম্ন ম্যান্টলে ‘লো-শিয়ার-ভেলোসিটি প্রভিন্সেস’ নামক কিছু অঞ্চলের আবিষ্কার হয়েছে, যা থিয়ার অবশিষ্টাংশ হতে পারে বলে অনুমান করা হয়।

থিয়ার উপাদানের রাসায়নিক গঠন নিয়ে কিছু বিতর্ক রয়েছে। চাঁদ ও পৃথিবীর উপাদানে অক্সিজেন আইসোটোপের সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়েছে। এটি থিয়া ও পৃথিবীর রাসায়নিক গঠনের মিলের ইঙ্গিত দিতে পারে। তবে কিছু গবেষণা চাঁদের অক্সিজেন আইসোটোপের বৈচিত্র্য দেখিয়েছে, যা থিয়ার পৃথিবী থেকে ভিন্ন উপাদান হওয়ার ইঙ্গিত দিতে পারে।

থিয়া সৌরজগতের গঠন ও চাঁদের উৎপত্তি বুঝতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে অনুমান করা হয়। তবে, থিয়া সম্পর্কে আরও গবেষণার প্রয়োজন এই অনুমানের নিশ্চিত সত্যতা প্রতিষ্ঠা করার জন্য।

মূল তথ্যাবলী:

  • থিয়া একটি অনুমানকৃত প্রাচীন গ্রহ যা পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষে জড়িত ছিল।
  • এই সংঘর্ষের ফলে চাঁদের উৎপত্তি হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়।
  • থিয়া মঙ্গল গ্রহের আকারের ছিল বলে ধারণা করা হয়।
  • থিয়ার অবশিষ্টাংশ পৃথিবীর নিম্ন ম্যান্টলে থাকতে পারে।
  • থিয়ার রাসায়নিক গঠন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - থিয়া বয়সন

২০২৪-১২-২৫

মিস্টার বিস্টের কাছ থেকে বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন।