তালুকদার দুগ্ধ ফার্ম

আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:২৯ এএম

তালুকদার দুগ্ধ ফার্ম: বরিশালের এক উদ্যমী খামারীর সাফল্যের গল্প

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়ন এলাকার মো: জহিরুল হক তালুকদার বাদলের নাম অনেকের কাছেই পরিচিত। ২০১২ সালে মাত্র পাঁচটি গরু নিয়ে শুরু করেন তিনি তার দুগ্ধ ফার্মের যাত্রা। আজ তার ফার্মে রয়েছে ৬৫টি বিদেশি গরু, প্রতিদিন ২০০-২৫০ লিটার দুধ উৎপাদন হয়। এই ফার্ম এখন প্রায় কোটি টাকার সম্পদ।

জহিরুল হক তালুকদার বাদল প্রথমে একজন শিক্ষক ছিলেন। কবাই ইউনিয়নের শিয়ালঘুনি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এন্ড টেকনিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষ থাকার পর ২০২১ সালের ৭ জুলাই অবসরে যান। অবসরের পর তিনি পুরোদমে নিজের ফার্মের দিকে মনোযোগ দেন। তাঁর এই ফার্ম কেবলমাত্র आর্থিক সাফল্য এনে দেয়নি, বরং এলাকায় বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগও করে দিয়েছে। ১০-১২ জন মানুষ এখানে কাজ করেন।

তিনি জানান, নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়া এলাকায় বেকারত্বের চিত্র দেখে তিনি এই উদ্যোগ নেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি গরু পালনের কাজ শুরু করেন। এখন তাঁর লক্ষ্য আরও বড় পরিসরে দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদন করে এই এলাকার উন্নয়নে অবদান রাখা। তিনি বরিশালের হক মিষ্টান্ন ভান্ডারে দুধ বিক্রি করেন। তিনি নতুন খামার তৈরির পরিকল্পনা করছেন।

২০১৬ সালে তিনি কবাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ফলে, তার ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং জনসেবার মিশ্রণ প্রশংসনীয়। এই ফার্মের সাফল্যের গল্প অন্যান্য উদ্যমীদের অনুপ্রেরণা হতে পারে।

মূল তথ্যাবলী:

  • মো: জহিরুল হক তালুকদার বাদলের ২০১২ সালে পাঁচটি গরু দিয়ে দুগ্ধ ফার্মের যাত্রা শুরু।
  • বর্তমানে ৬৫টি বিদেশি গরু এবং প্রতিদিন ২০০-২৫০ লিটার দুধ উৎপাদন।
  • প্রায় কোটি টাকার সম্পদ এবং ১০-১২ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি।
  • ২০১৬ সালে কবাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত।
  • বরিশালের হক মিষ্টান্ন ভান্ডারে দুধ বিক্রি।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - তালুকদার দুগ্ধ ফার্ম

১ জানুয়ারী ২০১২, ৬:০০ এএম

‘তালুকদার দুগ্ধ ফার্ম’ দুগ্ধ উৎপাদনে সাফল্য অর্জন করেছে।