মাওলানা তারিক জামিল: একজন বিশিষ্ট ইসলামি পণ্ডিত, প্রচারক ও সমাজসেবক
১৯৫৩ সালের ১ অক্টোবর পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের টুলাম্বায় জন্মগ্রহণকারী মাওলানা তারিক জামিল একজন বিশিষ্ট ইসলামি পণ্ডিত, প্রচারক ও সমাজসেবক। তিনি দেওবন্দি ইসলামি চিন্তাধারার অনুসারী এবং তাবলিগ জামাতের সক্রিয় সদস্য। ডাক্তারি পড়াশোনা অসম্পূর্ণ রেখে তিনি ইসলামের শিক্ষা ও প্রচারে নিজেকে নিয়োজিত করেন।
তার সাবলীল উর্দু ও আরবি ভাষায় বক্তৃতা এবং সাধারণ জীবনযাপন তাকে মুসলিম বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় করে তুলেছে। তিনি মন্ত্রী, ব্যবসায়ী, অভিনেতা, ক্রীড়াবিদসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষের উপর প্রভাব বিস্তার করেছেন। তার বক্তৃতা শুনে অনেকে ইসলাম গ্রহণ করেছেন এবং জীবনে পরিবর্তন এনেছেন।
ধর্ম প্রচারের পাশাপাশি সমাজসেবা ও শিক্ষায় অবদানের অংশ হিসেবে তিনি মাওলানা তারিক জামিল ফাউন্ডেশন, জামিয়া আল হুসায়নিয়া মাদ্রাসা ও মিম একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছেন। ২০২১ সালে তিনি এমটিজে ব্র্যান্ড নামে একটি কাপড় ব্যবসাও শুরু করেন। ধর্মীয় ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি দুইবার প্রাইড অব পারফরম্যান্স পুরষ্কার লাভ করেছেন এবং বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ জন মুসলিমের তালিকায় নিয়মিত শীর্ষ ৫০-এ স্থান পেয়েছেন।
শিক্ষাজীবন:
তারিক জামিল প্রথমে ডাক্তারি পড়াশোনা শুরু করেন। কিন্তু তাবলিগ জামাতের সাথে যুক্ত হওয়ার পর তিনি ইসলামের শিক্ষায় নিজেকে নিয়োজিত করেন। তিনি লাহোরের জামিয়া আরাবিয়া, রায়উইন্ড এবং জামিয়া রশিদিয়া শাহীওয়ালে শিক্ষা লাভ করেন। এখানে তিনি কুরআন, হাদিস, ফিকহ, তাসাউফ এবং ইসলামি আইনশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন।
সমাজসেবা ও প্রভাব:
তারিক জামিল জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করে বক্তৃতা প্রদান করেন। তার বক্তৃতা শুনে অনেক মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেছেন এবং জীবনে নতুন দিক খুঁজে পেয়েছেন। তিনি পাকিস্তানের বিভিন্ন সেলিব্রিটি, খেলোয়াড় ও রাজনীতিকের উপর গভীর প্রভাব ফেলেছেন। তিনি দেশে বিদেশে ইসলামের প্রচার-প্রসারে নিয়মিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও পুরস্কার:
তিনি মাওলানা তারিক জামিল ফাউন্ডেশন, জামিয়া আল হুসায়নিয়া মাদ্রাসা এবং মিম একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা। তিনি দুইবার প্রাইড অব পারফরম্যান্স পুরষ্কার লাভ করেছেন এবং বিশ্বের ৫০০ জন প্রভাবশালী মুসলিমের তালিকায় নিয়মিত স্থান পেয়েছেন। তার ইউটিউব চ্যানেলটি ১০ লাখ সাবস্ক্রাইবার ছাড়িয়ে গেছে।