ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বলতে একক কোনও আদালত নয় বরং ঢাকা মহানগরীতে অবস্থিত একাধিক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতকে বোঝায়। ২০০৭ সালের ১লা নভেম্বর বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের পর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পদের উৎপত্তি হয়। এই আদালতগুলো উপজেলা পর্যায়ের প্রধান ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের প্রধান বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করে। তারা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে উপজেলা বা থানার আমলী আদালতের দায়িত্ব পালন করেন।
এই আদালতগুলোতে বিভিন্ন ধরণের ফৌজদারি মামলার বিচার করা হয়। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড প্রদান করতে পারেন। তারা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০(১) ধারা অনুযায়ী তাদের এখতিয়ারাধীন অঞ্চলে সংঘটিত যেকোন অপরাধ আমলে নিতে পারেন। পুলিশ, প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ সহ সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিভাগের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দায়িত্বও তাদের উপর ন্যস্ত।
প্রশাসনিক ক্ষেত্রে তারা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনস্থ। তাদের পদমর্যাদা বাংলাদেশের পদমর্যাদা ক্রম অনুযায়ী ২৩ নং ক্রমিকে অবস্থিত। বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের ৪র্থ গ্রেডের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে রাষ্ট্রপতির নির্দেশে আইন মন্ত্রণালয় সুপ্রীম কোর্টের সাথে পরামর্শক্রমে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়োগ ও বদলি করে থাকে।
ঢাকার বিভিন্ন থানা ও উপজেলায় অবস্থিত এই আদালতগুলো দৈনন্দিন অসংখ্য ফৌজদারি মামলার বিচার প্রক্রিয়া পরিচালনা করে যাচ্ছে। এই আদালতগুলোর কার্যক্রমের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও আইনের শাসন বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়। আদালতগুলোর কাজের পরিধি ও গুরুত্ব বাংলাদেশের ন্যায়বিচার ব্যবস্থায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।