ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তন

আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২:২০ এএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তন বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা। ১৯৬২ সালে গ্রিক স্থপতি কন্সটেন্টিনোস এপোস্তলো ডক্সিয়াডিস কর্তৃক নকশা করা এই মিলনায়তন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অন্তর্গত শাহবাগ এলাকায় অবস্থিত। মিলনায়তনটি একটি অভ্যন্তরীণ উঠানকে কেন্দ্র করে নির্মিত, এবং এর 'বাটারফ্লাই ক্যানপি' নকশা বিশেষ আকর্ষণীয়। এখানে ছাত্র সংগঠনের কার্যালয়, পাঠাগার, অডিটোরিয়াম, খাবারের জায়গা, খেলার কক্ষ এবং একটি সুইমিংপুল রয়েছে। অডিটোরিয়ামটি প্রায় ১৭০ ফিট লম্বা এবং ৮৫ ফিট চওড়া। ডক্সিয়াডিস বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও গ্রামীণ ঐতিহ্যকে বিবেচনা করে এই স্থাপত্য নির্মাণ করেছিলেন।

টিএসসি মিলনায়তন শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, বরং বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রবিন্দু। বিভিন্ন সময় এখানে বইমেলা, বৈশাখ উদযাপন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং রাজনৈতিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও ছাত্র আন্দোলনের সাথেও ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।

সম্প্রতি, টিএসসি মিলনায়তনকে আধুনিকায়ন করার একটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিএসসিকে একটি আধুনিক ভবনে রূপান্তরিত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তবে, ঐতিহাসিক এই ভবন ভেঙে ফেলা হবে কিনা সে ব্যাপারে বিতর্ক চলছে। অনেকেই ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে এর সংরক্ষণের পক্ষে মতামত দিচ্ছেন। বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী, নতুন টিএসসিতে তিনটি মিলনায়তন, একটি সুইমিংপুল, জিমনেশিয়াম, এবং আরও অনেক আধুনিক সুবিধা থাকবে। তবে, চূড়ান্ত নকশা ও পরিকল্পনা এখনও প্রকাশিত হয়নি।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৬২ সালে গ্রিক স্থপতি ডক্সিয়াডিস কর্তৃক নকশা
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থিত
  • ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব
  • ছাত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত
  • আধুনিকায়নের পরিকল্পনা চলছে

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তন

২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।