জয়নুল আবদিন ফারুক

জয়নুল আবদিন ফারুক: একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ

জয়নুল আবদিন ফারুক (জন্ম: ১০ ডিসেম্বর ১৯৪৯) বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত এবং নোয়াখালী-২ ও নোয়াখালী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি পঞ্চম (১৯৯১), ষষ্ঠ (১৯৯৬), সপ্তম (১৯৯৬), অষ্টম (২০০১) এবং নবম (২০০৮) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন।

ফারুকের রাজনৈতিক জীবন রয়েছে নানা উত্থান-পতনের ইতিহাস। ২০০৯ সালে তিনি বিরোধী দলের চিফ হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ সালের জুলাই মাসে সংসদ ভবনের সামনে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভের সময় পুলিশের হাতে তিনি আহত হন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন এবং সরকারের বিরুদ্ধে মানহানীর মামলা দায়ের করেন।

২০১১ সালের ৬ ও ৭ জুলাই বিএনপি'র হরতালের সময় সংসদ ভবনের সামনে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িত ছিলেন ফারুক। পুলিশের অত্যাচারের শিকার হন এবং গুরুতর আহত হন। এই ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ ও বিপ্লব কুমার সরকারের বিরুদ্ধে তিনি মামলা করেন।

সরকার-বিরোধী বিক্ষোভের সময় নাশকতার অভিযোগে ২০১৩ সালে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তবে পরবর্তীতে তিনি জামিনে মুক্তি পান। ফারুক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন।

জয়নুল আবদিন ফারুকের রাজনৈতিক জীবন বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসের এক অংশ। তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, সংগ্রাম এবং বিতর্ক নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলে আসছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • জয়নুল আবদিন ফারুক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতা।
  • তিনি ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
  • ২০১১ সালে পুলিশের হাতে আহত হন।
  • সরকার-বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন।
  • খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ছিলেন।

গণমাধ্যমে - জয়নুল আবদিন ফারুক

জয়নুল আবদিন ফারুক জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত নাগরিক সমাবেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা করেন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘নির্বাচনী রোড ম্যাপ ও জনআকাঙ্ক্ষা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় জয়নুল আবদিন ফারুক দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের স্পষ্ট তারিখ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি তারেক রহমান কে প্রধানমন্ত্রী বানানোর বিরোধিতা করেছেন এবং শেখ হাসিনার রাজনীতিতে অংশগ্রহণের বিরোধিতা করেছেন। তিনি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেছেন।