জাতীয় পরিষদ শব্দটি বহু অর্থে ব্যবহৃত হয় এবং এটি একক কোনো সংগঠনকে নির্দেশ করে না। প্রদত্ত লেখা থেকে বোঝা যায়, এটি দুটি ভিন্ন প্রেক্ষিতে ব্যবহৃত হয়েছে:
১. জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি): দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা অনুমোদনের জন্য দেশের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ। মন্ত্রিপরিষদের সকল সদস্য এ পরিষদের সদস্য, এবং প্রধানমন্ত্রী এর সভাপতি। এনইসির কার্যাবলীর মধ্যে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি প্রণয়ন, উন্নয়ন কর্মসূচির অগ্রগতি পর্যালোচনা, আর্থসামাজিক উন্নয়ন সম্পর্কে পদক্ষেপ গ্রহণ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। এনইসির নির্বাহী কমিটি হলো একনেক (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি), যার দায়িত্ব হলো নির্দিষ্ট আর্থিক মূল্যের উর্ধ্বে উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন ও পর্যালোচনা। একনেকের কাঠামো ও কার্যাবলী সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়েছে, বিশেষ করে ১৯৮২ সালের পর থেকে।
২. বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ: ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি সরকারি সংস্থা, যার কার্যালয় ঢাকার মোহাম্মদপুরে অবস্থিত। এটি জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টি নীতি প্রণয়ন, পুষ্টি পরিকল্পনা অনুমোদন, পুষ্টি গবেষণা, পুষ্টি সংক্রান্ত তথ্য প্রচার ইত্যাদি কাজ করে। এতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রিবর্গ, সচিব, পুষ্টিবিশেষজ্ঞ, সাংবাদিক প্রভৃতি সদস্য রয়েছেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এর প্রধান। এ পরিষদের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টি নীতি বিধিবদ্ধকরণ, পুষ্টি পরিস্থিতির বিবরণী প্রণয়ন, গ্রোথ কার্ড ও বার স্কেল উদ্ভাবন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
উল্লেখ্য যে, প্রদত্ত লেখায় 'জাতীয় পরিষদ' এর অন্যান্য অর্থের উল্লেখ করা হয়নি। আরো বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে, আমরা এই লেখাটি আপডেট করব।