গ্রিসের রাজতন্ত্র বিলুপ্তি

১৯৭৪ সালের ডিসেম্বরে গণভোটের মাধ্যমে গ্রিসের রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে। সাত বছরের সামরিক একনায়কতন্ত্রের পতনের কয়েক মাস পর এই ঘটনা ঘটে। জনগণ ব্যাপকভাবে প্রজাতন্ত্রের সংবিধানের পক্ষে ভোট দিয়েছিল। দীর্ঘ ৫০ বছর পর, ১৯৯৪ সালে, রাজা দ্বিতীয় কনস্টান্টাইন এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের রাজকীয় সম্পত্তি নিয়ে সরকারের সাথে বিরোধের জেরে তাদের গ্রীক নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়। সরকারের দাবি ছিল, রাজা তাঁর বংশধরদের জন্য গ্রীক সিংহাসনের কোনো অধিকার ত্যাগ করতে রাজি ছিলেন না। তবে, সম্প্রতি রাজপরিবারের সদস্যরা দেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন এবং প্রজাতন্ত্রকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এই আবেদনে তারা 'ডি গ্রেস' বা 'গ্রিসের' উপাধি ব্যবহার করেছেন, যা কিছু বামপন্থী রাজনীতিবিদের কাছে বিতর্কিত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এটিকে ঐতিহাসিকভাবে ঝুলে থাকা একটি বিষয়ের সমাধান হিসেবে দেখছেন। প্রয়াত রাজা দ্বিতীয় কনস্টান্টাইন এবং প্রাক্তন রানী অ্যান-মেরির পাঁচ সন্তানসহ পরিবারের ১০ জন সদস্য নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। সত্তরের দশকে রাজপরিবার কয়েক দশক ধরে নির্বাসনে ছিলেন এবং পরে 'সাধারণ নাগরিক' হিসেবে গ্রিসে ফিরে আসেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৭৪ সালে গণভোটে গ্রিসের রাজতন্ত্র বিলুপ্তি।
  • রাজা দ্বিতীয় কনস্টান্টাইনের পরিবারের নাগরিকত্ব বিতর্ক।
  • রাজকীয় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ।
  • রাজপরিবারের প্রজাতন্ত্রকে স্বীকৃতি এবং নাগরিকত্বের আবেদন।
  • বামপন্থীদের 'ডি গ্রেস' উপাধি নিয়ে আপত্তি।