টঙ্গী: গাজীপুরের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প নগরী
বাংলাদেশের গাজীপুর জেলার টঙ্গী ঢাকা শহরের উত্তর সীমান্তে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ শিল্প নগরী। ১৭৮৬ সালে এটি ঢাকার উত্তরাঞ্চলের সীমান্ত হিসেবে নির্ধারিত হয়। প্রায় ৩৫০,০০০ জনসংখ্যার এই শহর মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ, বিশ্ব ইজতেমা, এর জন্য বিখ্যাত।
ঐতিহাসিক গুরুত্ব:
মোগল সুবাদার মীর জুমলা দ্বিতীয় (১৬৬০-১৬৬৩) ঢাকার উত্তরাঞ্চল রক্ষার জন্য টঙ্গীতে একটি দুর্গ নির্মাণ করেন এবং তুরাগ নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণ করেন। এছাড়াও তিনি টঙ্গীকে বাদশাহী বাগের সাথে সংযুক্ত একটি সড়ক নির্মাণ করেন, যা বর্তমানে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের অংশ। এই সড়কটি ১৯ ও ২০ শতকে নতুন নগর বসতি গড়ে তোলার কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে কাজ করে।
অর্থনৈতিক গুরুত্ব:
টঙ্গীতে বিসিক শিল্পাঞ্চল অবস্থিত, যা বছরে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার পণ্য উৎপাদন করে। এখানে অসংখ্য শিল্প কারখানা রয়েছে এবং অনেক টঙ্গীবাসী ঢাকায় কর্মসংস্থানের জন্য যাতায়াত করে। টঙ্গী জংশন রেলওয়ে স্টেশন এই শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
অন্যান্য তথ্য:
- টঙ্গী শহিদ স্মৃতি স্কুল প্রাঙ্গণে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যার কবর রয়েছে।
- টঙ্গী থানা ১৯৮৩ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা এবং জয়দেবপুর নিয়ে গঠিত হয়।
- ২০০৩ সালের ৭ জানুয়ারী গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন গঠনের সিদ্ধান্তে টঙ্গী পৌরসভাটি বিলুপ্ত হয়।
- তুরাগ নদী টঙ্গীকে ঢাকা শহর থেকে আলাদা করে।
আমরা টঙ্গী সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করে এই লেখাটি সমৃদ্ধ করব।