খিজির হায়াত

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩:২৭ এএম
নামান্তরে:
খিজির হায়াত লিজু
খিজির হায়াত

খিজির হায়াত নামে দুজন ব্যক্তি বিদ্যমান। একজন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক এবং অন্যজন একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অভিনেতা।

খিজির হায়াত (বিচারক):

খিজির হায়াত, যিনি খিজির হায়াত লিজু নামেও পরিচিত, ১৯৬৭ সালের ২৪ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সামাজিক বিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক, দর্শনে স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯৭ সালের ৬ আগস্ট ঢাকা জেলা আদালতে আইন অনুশীলন শুরু করে ২০০১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগে অনুশীলন শুরু করেন। ২০১৮ সালের ৩১ মে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান এবং ২০২০ সালের ৩০ মে স্থায়ী বিচারপতি হন।

বিচারপতি হিসেবে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলায় রায় দিয়েছেন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন, বিভিন্ন ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারপতি মোঃ মজিবুর রহমান মিয়া, মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার সহ অন্যান্য বিচারপতিদের সাথে তিনি মিলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলায় কাজ করেছেন।

খিজির হায়াত খান (চলচ্চিত্র নির্মাতা):

খিজির হায়াত খান একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অভিনেতা। ১৯৭৯ সালের ১২ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কুমিল্লায় বেড়ে ওঠেন এবং সিলেট ক্যাডেট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও কলেজ শেষ করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হ্যামলাইন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলা বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৭ সালে ‘অস্তিত্বে আমার দেশ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে পরিচালনায় অভিষেক ঘটে। তিনি ‘জাগো’ চলচ্চিত্রের জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তার নিজস্ব প্রযোজনার নাম KHK Productions. ২০২৩ সালে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দুই চরমপন্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়। সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্য ছিলেন, পরবর্তীতে পদত্যাগ করেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • খিজির হায়াত নামে দুইজন ব্যক্তি রয়েছেন
  • একজন হাইকোর্ট বিচারপতি, অপরজন চলচ্চিত্র নির্মাতা
  • বিচারপতি খিজির হায়াতের জন্ম ১৯৬৭ সালে
  • চলচ্চিত্র নির্মাতা খিজির হায়াত খানের জন্ম ১৯৭৯ সালে
  • বিচারপতি খিজির হায়াত ২০২০ সালে স্থায়ী বিচারপতি হন
  • চলচ্চিত্র নির্মাতা খিজির হায়াত খান ‘জাগো’ চলচ্চিত্রের জন্য পরিচিত

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।