কুরআন হাফেজ বলতে সাধারণত এমন ব্যক্তিকে বোঝায় যিনি সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্থ করেছেন। একজন হাফেজ কেবল কুরআন মুখস্থ করাই নয়, বরং তার সঠিক উচ্চারণ এবং তাফসীরের জ্ঞানও রাখেন। মুসলিম সমাজে হাফেজদের অত্যন্ত সম্মান ও মর্যাদা দেওয়া হয়।
কুরআন হাফেজ হওয়ার প্রক্রিয়াটি বেশ দীর্ঘ ও কঠোর পরিশ্রমের । সাধারণত ৩ থেকে ৬ বছর সময় লাগে। এর জন্যে বিশেষ মাদ্রাসা (হিফজখানা) রয়েছে যেখানে শিক্ষার্থীরা কুরআন মুখস্থ করার পাশাপাশি সঠিক উচ্চারণ ও তার প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন করেন।
ইতিহাসের ধারণা অনুযায়ী, নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনকালে এবং তার পরবর্তী সময়েও প্রচুর হাফেজ ছিলেন যারা কুরআন সংরক্ষণ ও প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। লেখার ব্যবস্থা না থাকায় কুরআনের সংরক্ষণ ও প্রচারের জন্য মুখস্থ করার পদ্ধতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
আধুনিক যুগেও হাফেজদের গুরুত্ব অপরিবর্তিত রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় যেখানে অসংখ্য হাফেজ অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের মেধা ও দক্ষতা প্রদর্শন করেন। বাংলাদেশের হাফেজরাও এসব প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করে আসছে।
কুরআন হাফেজ হওয়া শুধুমাত্র ধর্মীয় দিক থেকে মহান বলে বিবেচিত হয় না বরং এটি একটি বিরল মেধার প্রমাণ ও ব্যক্তির কঠোর পরিশ্রমের ফসল। তারা সমাজের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।