কুমিল্লা কোটবাড়ী: ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সম্মিলন
কুমিল্লা কোটবাড়ী নামটি একাধিক স্থান ও প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ করতে পারে, যার ফলে কিছুটা দ্ব্যর্থতা দেখা দিতে পারে। এই লেখায় আমরা কুমিল্লা শহরের আশেপাশে অবস্থিত বিভিন্ন স্থানকে 'কুমিল্লা কোটবাড়ী' হিসেবে বিবেচনা করব, যার সাথে ঐতিহাসিক নিদর্শন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য জড়িত।
কুমিল্লা শহরের সদর দক্ষিণ উপজেলায় অবস্থিত কোটবাড়ী এলাকা কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। এখানে অবস্থিত বিখ্যাত ময়নামতি জাদুঘর ও শালবন বৌদ্ধবিহার দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। অষ্টম শতকে নির্মিত শালবন বিহার ৩৭ একর জুড়ে বিস্তৃত এবং বহুমূল্য প্রত্নসম্পদে ভরপুর। এই বিহার আগে 'শালবন রাজার বাড়ি' নামে পরিচিত ছিল। ১৯৫৫ সালে খননের মাধ্যমে এটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব উন্মোচিত হয়। খননে প্রাপ্ত প্রত্নসম্পদগুলো বর্তমানে ময়নামতি জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।
ময়নামতি জাদুঘরের পাশাপাশি কোটবাড়ী ও আশপাশের এলাকায় আরও অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে, যেমন রূপবান মুড়া, কোটালিমুড়া, ইটাখলা মুড়া, আনন্দবিহার, ভোজবিহার, রানির বাংলো ইত্যাদি। এই এলাকা লালমাই পাহাড়ের নিকটবর্তী হওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেও সমৃদ্ধ।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিক থেকেও কোটবাড়ী গুরুত্বপূর্ণ। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অবস্থিত হওয়ায় এখানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন, বার্ড (বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী), কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ, টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, কুমিল্লা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ইত্যাদি বিদ্যমান।
কুমিল্লা কোটবাড়ী এলাকা পর্যটন ও শিক্ষার জন্য সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ঐতিহাসিক নিদর্শন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে এটি কুমিল্লার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ।