ঢাকার কাকরাইল এলাকায় অবস্থিত কাকরাইল মার্কাজ মসজিদ বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থাপনা। রমনা পার্কের নিকটবর্তী এই মসজিদটি দীর্ঘদিন ধরে তাবলীগ জামাতের মারকাজ বা কেন্দ্রীয় কার্যালয় হিসেবে পরিচিত। মসজিদের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাকাল নিয়ে মতবিরোধ থাকলেও, ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী, নবাব পরিবারের একজন সদস্য প্রায় ৩০০ বছর আগে এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে ধারণা করা হয়। প্রাথমিকভাবে ছোট আকারের এই মসজিদটি পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে সম্প্রসারিত হয়েছে। তাবলীগ জামাত ১৯৫২ সালে এখানে তাদের মারকাজ স্থাপন করে। ইঞ্জিনিয়ার হাজী আব্দুল মুকিতের নকশায় তিন তলা বিশিষ্ট বর্তমান মসজিদটি নির্মিত হয়েছে। এর স্থাপত্যে ত্রিভুজাকৃতির কারুকাজ, চৌকোণা স্তম্ভ এবং ঢেউ খেলানো পশ্চিম দেয়াল বিশেষ উল্লেখযোগ্য। মসজিদটির তিন দিকে প্রশস্ত বারান্দা এবং অজু করার জন্য দুটি পুকুরসদৃশ ব্যবস্থা আছে। মসজিদটির উত্তরে একটি দোতলা ভবনে টয়লেট এবং বাথরুম রয়েছে। কাকরাইল মসজিদ বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত। তবে, সম্প্রতি মসজিদের ব্যবস্থাপনা নিয়ে তাবলীগ জামাতের দুটি বিরোধী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এই বিরোধ মসজিদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও ধর্মীয় কার্যক্রমের উপর প্রভাব ফেলেছে। ভবিষ্যতে এই সংঘাতের সমাধান ও মসজিদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
কাকরাইল মার্কাজ মসজিদ
আপডেট: ১ জানুয়ারী ২০২৫, ৩:৩২ এএম
মূল তথ্যাবলী:
- কাকরাইল মার্কাজ মসজিদ ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত।
- এটি তাবলীগ জামাতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়।
- প্রায় ৩০০ বছর আগে নবাব পরিবারের সদস্য কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বলে ধারণা করা হয়।
- ১৯৫২ সালে তাবলীগ জামাত তাদের মারকাজ এখানে স্থাপন করে।
- ইঞ্জিনিয়ার হাজী আব্দুল মুকিত নকশা করেছিলেন বর্তমান মসজিদটি।
- সম্প্রতি মসজিদের ব্যবস্থাপনা নিয়ে তাবলীগ জামাতের দুটি বিরোধী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত উদ্ভূত হয়েছে।
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।
গণমাধ্যমে - কাকরাইল মার্কাজ মসজিদ
৩১ ডিসেম্বর
কাকরাইল মার্কাজ মসজিদে সরকারি প্রশাসক নিয়োগের দাবিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।