ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মিলনায়তন ও কার্যক্রম
১৯৭৬ সাল থেকে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বৈদেশিক কর্মসংস্থান শুরু হলেও, প্রবাসী কর্মীদের সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিতকরণে আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় ১৯৯০ সালে। প্রবাসী কর্মীদের অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে এবং তাদের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে, সরকার Emigration Ordinance-1982 এর ১৯(১) ধারার ক্ষমতাবলে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ তহবিল গঠন করে। পরবর্তীতে, "ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড আইন, ২০০৮" (২০১৮ সালে সংশোধিত) এর মাধ্যমে "ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড" একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মিলনায়তন বলতে বোর্ডের প্রধান কার্যালয় এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত এর শাখা অফিস ও ওয়েলফেয়ার সেন্টারগুলিকে বোঝায়। প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত হলেও, দেশের বিভিন্ন জেলায় এর অধিভুক্ত ওয়েলফেয়ার সেন্টার রয়েছে। এই সেন্টারগুলো প্রবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন সেবা প্রদান করে। সেন্টারের ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং ইমেইল ঠিকানা সাধারণত ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়।
বোর্ডের কার্যাবলী:
ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড বিভিন্ন সেবা প্রদান করে, যেমন:
- বিমানবন্দরে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের মাধ্যমে সহায়তা।
- শিক্ষা, বীমা ও প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান।
- ওয়েজ আর্নার্স সেন্টার (WEC) এর মাধ্যমে বিভিন্ন সেবা।
- আহত, অসুস্থ ও মৃত কর্মীদের সহায়তা।
- মৃতদেহ দেশে আনয়ন এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান।
- অ্যাম্বুলেন্স, সেইফ হোম, লিগ্যাল সেল ও হেল্প ডেস্ক পরিচালনা।
- দেশে ও বিদেশে আইনি সহায়তা।
- রিইন্টিগ্রেশন কর্মসূচি।
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক স্থাপনে সহায়তা।
- কোভিড-১৯ কালীন বিশেষ সেবা।
বোর্ডের গঠন:
ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বোর্ড। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এর চেয়ারম্যান। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি), বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, এবং বায়রা-এর প্রতিনিধিরা বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি:
লেখা অনুসারে বোর্ডের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং সচিব মোঃ রুহুল আমিন এবং মহাপরিচালক নূর মোঃ মাহবুবুল হক।
উল্লেখযোগ্য স্থান:
বোর্ডের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত, তবে দেশের বিভিন্ন জেলায় এর ওয়েলফেয়ার সেন্টার রয়েছে। লেখায় বিভিন্ন জেলায় ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
বর্তমানে বিশ্বের ১৭৬ টি দেশে ১ কোটির অধিক প্রবাসী বাংলাদেশী কর্মী কর্মরত আছেন। তাদের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্জিত রেমিটেন্স দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।