এয়ার ইন্ডিয়ার বিজনেস ক্লাস: অভিজ্ঞতা, বিতর্ক ও ভবিষ্যৎ
সম্প্রতি এয়ার ইন্ডিয়ার বিজনেস ক্লাসের মান নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক ঘটনায়, যাত্রীরা অপরিষ্কার পরিবেশ, ক্ষতিগ্রস্ত সরঞ্জাম এবং অপ্রত্যাশিত পরিষেবা সম্পর্কে অভিযোগ করেছেন। একজন ভারতীয়-আমেরিকান সিইও, অনিপ প্যাটেল, শিকাগো থেকে দিল্লি যাওয়ার সময় এয়ার ইন্ডিয়ার বিজনেস ক্লাসের অবস্থা সম্পর্কে একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন, যা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে, এয়ার ইন্ডিয়ার বিজনেস ক্লাসের ধারণাটি সর্বদা নেতিবাচক ছিল না। অতীতে, এটি তার উচ্চ-মানের পরিষেবা ও সুবিধার জন্য পরিচিত ছিল। কিন্তু সম্প্রতি এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস তাদের বিজনেস ক্লাসের পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০২৫ সাল থেকে। এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস এবং এআইএক্স কানেক্টের একীকরণের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার ৩৪টি টেল বোয়িং ৭৩৭-৮ বিমানের মধ্যে ২৯টিতে পৃথক বিজনেস ক্লাসের আসন রয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়ার বিজনেস ক্লাসের আসন শূন্য রাখার সমস্যা সমাধানের জন্য, তারা একটি নতুন ব্যবস্থা চালু করেছে যার মাধ্যমে ইকোনমি ক্লাসের যাত্রীরা বেশি দাম দিয়ে বিজনেস ক্লাসে আপগ্রেড করতে পারবেন। এছাড়াও, এয়ার ইন্ডিয়া সাম্প্রতিককালে কলকাতা থেকে লন্ডন সরাসরি ফ্লাইট চালু করেছে। কিন্তু করোনা মহামারী এবং বিজনেস ক্লাসের উচ্চ দামের কারণে ইকোনমি ক্লাসে যাত্রীদের সংখ্যা কম থাকলেও বিজনেস ক্লাসের যাত্রী সংখ্যা বেশি ছিল।
এয়ার ইন্ডিয়ার বিজনেস ক্লাস সম্পর্কে আরো কিছু নেতিবাচক খবরও সামনে এসেছে। মুম্বাই থেকে চেন্নাই যাওয়ার একটি ফ্লাইটে এক যাত্রী খাবারে পোকা পেয়েছেন। এ ঘটনার পর, এয়ার ইন্ডিয়া ক্ষমা চেয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়া বর্তমানে তাদের পরিষেবা উন্নত করার চেষ্টা করছে। তারা নতুন এয়ারবাস এ৩৫০ বিমান সংগ্রহ করছে এবং নতুন পোশাকও চালু করছে। প্রতিযোগিতার কারণে এয়ার ইন্ডিয়ার বিজনেস ক্লাসকে আরও উন্নত করতে হবে। ইন্ডিগো তাদের বিমানে বিজনেস ক্লাস চালু করার পরিকল্পনা করছে। এতে দুটি সংস্থার মধ্যে প্রতিযোগিতা বেড়ে যাবে। তবে, এয়ার ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিগো উভয়ের লক্ষ্য হল ধনী যাত্রীদের আকর্ষণ করা।
সামনে আসা নতুন তথ্যের উপর ভিত্তি করে, এই নিবন্ধটি আরও সম্পূর্ণ ও আপডেট করা হবে।