এমডি আবুল কালাম আজাদ নামটি দুই ব্যক্তিকে নির্দেশ করতে পারে, তাই বিভ্রান্তি এড়াতে তাদেরকে পৃথকভাবে বর্ণনা করা হলো:
১. আবুল কালাম আজাদ (সাংবাদিক):
একজন বাংলাদেশী সাংবাদিক, যিনি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার হারিদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করার পর মস্কো থেকে উন্নয়ন সাংবাদিকতা বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে দৈনিক ইত্তেফাকে যোগদানের মাধ্যমে সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন। ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রেস মিনিস্টার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০০২ সালে তিনি তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার প্রেস সচিব হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং পরে ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৪ সালের ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন এবং পরবর্তীতে একই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি বাসসের প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। তিনি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন এবং পঞ্চম ওয়েজ বোর্ডের সদস্য ছিলেন। তার নিয়োগ ২০২৪ সালের ১৭ আগস্ট বাতিল করা হয়।
২. সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ (শিক্ষাবিদ):
একজন বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ, যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন কোষাধ্যক্ষ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলায় ১৯৫১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টার্ন ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১৫ সালে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন এবং বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিনও ছিলেন। তিনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যও ছিলেন এবং জাতীয়তাবাদী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন।