এনআইডি ডিজি-এর সাথে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) চুক্তি বাতিলের ঘটনায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) -এর এক সংবাদ সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর ইসি ও বিসিসির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয় এনআইডি তথ্য যাচাইয়ের জন্য। চুক্তির শর্ত ছিল, এনআইডি সার্ভারের তথ্য অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে হস্তান্তর করা যাবে না। কিন্তু বিসিসি এই শর্ত লঙ্ঘন করেছে বলে ইসি অভিযোগ করেছে। বিসিসি তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশে সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হয়। তাদের বকেয়া অর্থ পরিশোধ না করার অভিযোগও রয়েছে। এই দুই কারণে ইসি চুক্তি বাতিল করে এবং বিসিসির সাথে থাকা এনআইডি যাচাইয়ের এপিআই সংযোগ বন্ধ করে দেয়। ইসির মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর জানান, বিসিসির কাছে প্রায় দুই কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। তিনি আরও জানান, বিসিসির এনআইডি তথ্য তৃতীয় পক্ষকে দেওয়ার প্রক্রিয়ায় ইসির কিছু কর্মকর্তার সম্পৃক্ততায় তদন্ত হতে পারে। চুক্তি বাতিলের ফলে কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজে বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও, এখন পর্যন্ত তেমন কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে ইসি জানিয়েছে। ৯ কোটি মানুষের তথ্য বিসিসির কাছে থাকার বিষয়টি ইসি অস্বীকার করেছে।
এনআইডি ডিজি
মূল তথ্যাবলী:
- ইসি ও বিসিসির মধ্যে এনআইডি ডিজি চুক্তি বাতিল
- চুক্তি লঙ্ঘন ও বকেয়া অর্থ পরিশোধ না করার অভিযোগ
- বিসিসির এপিআই সংযোগ বন্ধ
- ইসির কিছু কর্মকর্তার সম্পৃক্ততার আশঙ্কা
- প্রায় দুই কোটি টাকা বকেয়া
গণমাধ্যমে - এনআইডি ডিজি
এনআইডি ডিজি এএসএম হুমায়ুন কবীর সংবাদ সম্মেলনে বিসিসির সাথে চুক্তি বাতিলের কথা জানান এবং এনআইডি তথ্য তৃতীয় পক্ষের কাছে হস্তান্তরের অভিযোগের বিষয়ে কথা বলেছেন।
এনআইডি ডিজি এএসএম হুমায়ুন কবীর বিসিসির সাথে চুক্তি বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।