আলমগীর মিয়া

আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৮ পিএম

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের এক অমিতব্যয়ী অবদান রাখা কিংবদন্তি অভিনেতা আলমগীর। তার জন্ম ১৯৫০ সালের ৩ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তার পৈতৃক বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে। তার পিতা কলিম উদ্দিন আহমেদ, যিনি ঢালিউডের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র 'মুখ ও মুখোশ'-এর একজন প্রযোজক ছিলেন এবং তাকে দুদু মিয়া নামেও ডাকা হত।

১৯৭৩ সালে 'আমার জন্মভূমি' চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আলমগীরের চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। 'জিঞ্জীর' (১৯৭৮) ছবিতে রাজ্জাক ও সোহেল রানার সাথে অভিনয় করে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ৮০ এবং ৯০-এর দশকে তিনি অভিনয়ের এক অভূতপূর্ব যুগ স্থাপন করেন। পারিবারিক, সামাজিক, রোমান্টিক, অ্যাকশন, এবং ফোক ফ্যান্টাসি সব ধরণের চলচ্চিত্রে তিনি তার অভিনয় দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। শাবানার সাথে তার জুটি ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল।

অভিনয়ের পাশাপাশি আলমগীর প্রযোজক, পরিচালক এবং গায়ক হিসেবেও সুনাম অর্জন করেছেন। 'নিষ্পাপ' (১৯৮৫) ছিল তার পরিচালনায় অভিষেক। তিনি 'মা ও ছেলে' (১৯৮৫) ছবিতে দীপক চৌধুরীর চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এরপর 'অপেক্ষা', 'ক্ষতিপূরণ', 'মরণের পরে', 'পিতা মাতা সন্তান', 'অন্ধ বিশ্বাস', এবং 'দেশপ্রেমিক' ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি আরও অনেক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। মোট ৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। ২০২৪ সালে একুশে পদক প্রাপ্তির জন্য তিনি বিবেচিত হন। তিনি ২০১৯ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননাও লাভ করেন।

আলমগীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি গানও গেয়েছেন বেশ কিছু চলচ্চিত্রে। তার ব্যক্তিগত জীবনে, তার প্রথম স্ত্রী ছিলেন গীতিকার খোশনুর আলমগীর, এবং বর্তমানে তিনি গায়িকা রুনা লায়লাকে বিবাহ করেছেন। তাদের কন্যা আঁখি আলমগীর একজন জনপ্রিয় গায়ক।

আলমগীরের অবদান বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে রয়েছে, তিনি একজন সফল অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক এবং গায়ক হিসেবে সর্বদা স্মরণীয় থাকবেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৫০ সালে জন্মগ্রহণ
  • ১৯৭৩ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক
  • ৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তি
  • প্রযোজক, পরিচালক ও গায়ক হিসেবেও কাজ
  • শাবানার সাথে জনপ্রিয় জুটি

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - আলমগীর মিয়া

ডিসেম্বর ২৭-২৮, ২০২৪

আলমগীর মিয়া চাঁদাবাজি, চুরি ও ছিনতাইয়ের মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন।