আবুল খায়ের চৌধুরী নামটি একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। তাই, স্পষ্টতার জন্য, আমরা এখানে দুইজন আবুল খায়ের চৌধুরীর তথ্য তুলে ধরবো।
প্রথম আবুল খায়ের চৌধুরী: একজন রাজনীতিবিদ ও মাদারীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি রিজু মিয়া নামেও পরিচিত ছিলেন। মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় তার জন্ম। তিনি মাদারীপুর জেলা বিএনপির সদস্য ছিলেন। ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে এবং ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে তিনি মাদারীপুর-১ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৮৬-১৯৮৮ মেয়াদে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ ও জুন ১৯৯৬ সালে একই আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হন।
দ্বিতীয় আবুল খায়ের চৌধুরী: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক সহকারী অধ্যাপক এবং একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবী। ১ এপ্রিল ১৯২৯ সালে পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার কাঁঠালিয়া গ্রামে তার জন্ম। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনী, রাজাকার ও আল-বদর বাহিনীর হাতে অপহরণ ও হত্যার শিকার হন। ৩রা নভেম্বর ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খানকে ১৯৭১ সালের ১০-১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আবুল খায়ের সহ ১৮ জন বুদ্ধিজীবীকে অপহরণ ও হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমেরিকান ইতিহাসে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।