ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) হলো বাংলাদেশের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ও ডিপ্লোমা আর্কিটেক্টদের জন্য একটি পেশাদার সংস্থা। ১৯৭০ সালের ৮ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি দেশের প্রকৌশল খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আইডিইবি'র প্রধান উদ্দেশ্য হলো ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধতা তৈরি করা এবং তাদের পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা করা।
আইডিইবির একটি ৫০০ সদস্যের জাতীয় কাউন্সিল রয়েছে, যারা প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক নীতি নির্ধারণ করে। এছাড়াও, একটি ১১ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন ধরণের সদস্যপদ প্রদান করে, যেমন ছাত্র সদস্য, সাধারণ সদস্য, ফেলো সদস্য, আজীবন সদস্য, দাতা সদস্য এবং সম্মানিত সদস্য। বাংলাদেশ সরকার স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারী এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে সার্টিফিকেট প্রাপ্ত ব্যক্তিরাই আইডিইবি'র সদস্য হতে পারেন।
আইডিইবি'র গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে গবেষণা ও অধ্যয়ন, স্মারকলিপি পেশ, সংবাদ সম্মেলন, কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন, একটি সামাজিক-প্রযুক্তিগত মাসিক সাময়িকী 'কারিগর' প্রকাশ এবং 'আইডিইবি স্বাধীনতা পাঠাগার' পরিচালনা। আইসিটি ও উদ্ভাবন বিভাগের মাধ্যমে আইডিইবি তাদের সদস্যদের তথ্যপ্রযুক্তিতে ক্ষমতায়ন এবং উদ্ভাবনী কার্যকলাপে উৎসাহিত করে।
প্রতিবছর ৮ নভেম্বর আইডিইবি'র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গণ প্রকৌশল দিবস পালিত হয়। এই দিবসটিতে বিভিন্ন আলোচনা সভা, সেমিনার, জাতীয় সমস্যা নিয়ে কারিগরি বক্তৃতা এবং রক্তদান কর্মসূচি ইত্যাদি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আইডিইবি ভবনটি ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত। আইডিইবি'র কার্যক্রম দেশের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে এবং ভবিষ্যতেও রাখবে বলে আশা করা যায়। তবে, আইডিইবি মিলনায়তন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। আমরা পরবর্তীতে আরও তথ্য যোগ করে এই নিবন্ধটি সম্পূর্ণ করব।