হোসেন সাজ্জাদ

আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮:৫১ পিএম

সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন: একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও লেখক

সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন (১৪ জানুয়ারি, ১৯২০ - ১২ জানুয়ারি, ১৯৯৫) ছিলেন বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও লেখক। তিনি মাগুরা জেলার আলোকদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এম.এ. এবং ১৯৫২ সালে যুক্তরাজ্যের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জোসেফ রডিয়ার্ড কিপলিং এবং ভারতের প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি বিষয়ে পিএইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে ইংরেজি সাহিত্যে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারী তিনিই প্রথম ব্যক্তি।

তিনি ১৯৪৪ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৪৮ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে অধ্যাপক এবং ১৯৫৯ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৯ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকিস্তানের অখন্ডতার পক্ষে অবস্থান নেওয়ার ফলে তিনি বিতর্কের সম্মুখীন হন।

১৯৭৫ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লেয়ার হলের ফেলো নিযুক্ত হন এবং ১৯৭৫ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। আশির দশকের শেষভাগে তিনি ঢাকায় ফিরে আসেন এবং ১৯৯৫ সালে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।

সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে তাঁর অবদান উল্লেখযোগ্য। তিনি ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে আছে 'Descriptive Catalogue of Bengal Muslims', 'East Pakistan: A Profile', 'Nix'd Grill', 'Kipling and India', 'Civilization and Society', 'The Waste of Time', 'A Young Muslim's Guide to Religions in the World', 'An Essay on Pakistani Writing in English', 'Drama in Developing Society', 'Books on the Quaide Azam: A Bibliography' ইত্যাদি। বাংলায় তিনি 'নির্ঘণ্ট অভিধান', 'ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাস' (২ খন্ড), 'একাত্তরের স্মৃতি' এবং 'আরবি সাহিত্যের ইতিহাস' রচনা করেন। তিনি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রভাবশালী লেখক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯২০ সালে মাগুরা জেলায় জন্ম
  • ১৯৪২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ.
  • ১৯৫২ সালে নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি
  • ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
  • ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই রচনা
  • ১৯৯৫ সালে মৃত্যু

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - হোসেন সাজ্জাদ

২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

মো. তুহিনুর রহমান, হোসেন সাজ্জাদ, এবং নীলুফার আজাদ খাগড়াছড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন।