দুটি হাসনা আক্তার সম্পর্কে পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে দুটি পৃথক প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
প্রথম হাসনা আক্তার:
১৪ বছর বয়সী হাসনা আক্তার সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নতুন হাছননগর এলাকার বাসিন্দা। সুনামগঞ্জ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী হলেও, ছয় মাস ধরে কিডনির সমস্যার কারণে শয্যাশায়ী। তার দুটি কিডনিরই কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে গেছে। তার বাবা হাছান আলী বেকার এবং অর্থের অভাবে সুনামগঞ্জ ও সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছেন, কিন্তু কোন স্থায়ী সমাধান পাননি। চিকিৎসকদের মতে, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে হবে। তবে অর্থের অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না। তার ছোট ভাই ষষ্ঠ শ্রেণীতে এবং ছোট বোন পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে।
দ্বিতীয় হাসনা আক্তার:
১৮ বছর বয়সী হাসনা আক্তার ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। একাদশ শ্রেণির ছাত্রী হাসনা পড়ালেখার পাশাপাশি উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখে। গ্রামীণফোনের ‘ইন্টারনেটের দুনিয়া সবার’ প্রচারাভিযানের আওতায় আয়োজিত উঠান বৈঠকে অংশগ্রহণ করে অনলাইন ব্যবসা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেলাই ও ফোঁড়নের কাজ জানে এবং ইউটিউব থেকে নকশা ও ফুল তোলার কাজ শিখে। তার লক্ষ্য অনলাইনে শাড়ি, পাঞ্জাবি ও কামিজের নকশা তৈরি করে বিক্রয় করা।