স্বাস্থ্য অধিদপ্তর: বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার এক প্রধান অঙ্গ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে কার্যরত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। প্রাথমিকভাবে ১৯৫৮ সালে 'স্বাস্থ্য পরিদপ্তর' হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ১৯৮০ সালে এটি 'স্বাস্থ্য অধিদপ্তর'-এ উন্নীত হয়। ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত এই অধিদপ্তর দেশের সর্বস্তরে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, কর্মপরিকল্পনা এবং প্রশাসনিকভাবে বিভিন্ন নীতি কার্যকর করার দায়িত্ব পালন করে।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস:
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়, অবিরাম আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা, শরণার্থীদের সেবা এবং নিহতদের মৃতদেহ সৎকারের মতো ব্যাপক কর্মসূচীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৯৭১ সালের ২ মে, ডাঃ তোফাজ্জল হোসেন (ডাঃ টি. হোসেন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রথম মহাপরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হন। মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়েও তিনি বহু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন।
বর্তমান কাঠামো:
একজন মহাপরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর সহায়তায় অতিরিক্ত মহাপরিচালক, পরিচালক, উপ-পরিচালক, সহকারী পরিচালক এবং বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী দায়িত্ব পালন করেন। অধিদপ্তরটি বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কর্মসূচী পরিচালনা করে এবং সরকারকে কারিগরি পরামর্শ প্রদান করে। ২০১৯ সালে নতুন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর গঠনের পর থেকে স্বাস্থ্য শিক্ষা দেখভালের দায়িত্ব স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে চলে গেছে।
কোভিড-১৯ মহামারীতে ভূমিকা:
কোভিড-১৯ মহামারী ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। মহামারীর প্রতিরোধ, চিকিৎসা এবং পরিচালনার জন্য এরা বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছিল।
উল্লেখ্যযোগ্য ব্যক্তিবর্গ:
ডাঃ তোফাজ্জল হোসেন (প্রথম মহাপরিচালক), ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম (বর্তমান মহাপরিচালক) এবং অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী।
আরও তথ্যের জন্য, আমরা আপনাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক সূত্রে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিচ্ছি।