স্বাধীনতা চত্বর

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম
নামান্তরে:
স্বাধীনতা স্কয়ার
স্বাধীনতা চত্বর

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত স্বাধীনতা চত্বর (মাইদান নেজালেজনোস্টি) ইউক্রেনের ইতিহাস ও রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। শেভচেঙ্কো জেলার খ্রেশচাতিক স্ট্রিটে অবস্থিত এই চত্বরটি বিভিন্ন নামে পরিচিত হলেও সাধারণত "মাইদান" নামেই পরিচিত। ১৯শ শতকে এখানে নগর পরিষদ ও মহৎ সমাবেশের ভবন ছিল। ১৯৯০ সাল থেকে ইউক্রেনের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে এই চত্বর রাজনৈতিক সমাবেশের ঐতিহাসিক স্থান হয়ে উঠেছে। ১৯৯০ সালের গ্রানাইটের ছাত্র বিপ্লব, ২০০১ সালের "ইউক্রেন কুচমা ছাড়া", ২০০৪ সালের কমলা বিপ্লব এবং ২০১৩-১৪ সালের ইউরোমাইদানের মতো ব্যাপক রাজনৈতিক প্রতিবাদ এখানেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউরোমাইদানের সময় অনেক মানুষের প্রাণহানির পর থেকে, অরাজনৈতিক অনুষ্ঠান-উৎসব অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ২৬ আগস্ট ১৯৯১ সালে, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের দুই দিন পর, চত্বরটির বর্তমান নামকরণ করা হয়। মাইদান শব্দটি ফারসি 'মেইদান' থেকে এসেছে যার অর্থ 'খোলা স্থান'। ইউক্রেনের স্বাধীনতা লাভের পর চত্বরটি দেশের স্বাধীনতার প্রতীক হয়ে উঠেছে। এটি কেবল একটি চত্বর নয়, বরং ইউক্রেনের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার লড়াইয়ের সাক্ষী এবং একটি ঐতিহাসিক স্থান। বর্তমানে স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভসহ বিভিন্ন স্থাপনা এই চত্বরকে আরও সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • স্বাধীনতা চত্বর কিয়েভের কেন্দ্রীয় চত্বর
  • ইউক্রেনের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতীক
  • বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিবাদের স্থান
  • ১৯৯০ সাল থেকে রাজনৈতিক সমাবেশের ঐতিহাসিক স্থান
  • ইউরোমাইদানের মতো ব্যাপক প্রতিবাদের সাক্ষী

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।