স্ত্রীর অনুমতি

আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩:১১ এএম

স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে: ইসলামী দৃষ্টিকোণ ও বাংলাদেশের আইন

এই নিবন্ধে আমরা ইসলাম ধর্মে এবং বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী একজন পুরুষের স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করার বিষয়টি বিশ্লেষণ করবো।

ইসলামী দৃষ্টিকোণ:

ইসলাম ধর্মে একাধিক বিয়ে করার অনুমতি রয়েছে, তবে এটি শর্তসাপেক্ষ। শর্ত হলো, স্বামী সকল স্ত্রীর প্রতি সমান ন্যায় ও ভালোবাসা প্রদর্শন করতে পারবে। যদি স্বামী সকল স্ত্রীর প্রতি সমান ন্যায় প্রদর্শন করতে না পারে, তাহলে দ্বিতীয় বিয়ে জায়েজ নয়। প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক নয়, তবে তাকে খুশি রাখা স্বামীর দায়িত্ব। নবী (সাঃ) এর হাদিসেও নারীদের সাথে সদাচরণের গুরুত্ব বর্ণিত হয়েছে। তাই, দ্বিতীয় বিয়ের আগে স্ত্রীর সাথে আলোচনা করে অনুমতি নেওয়া উচিত।

বাংলাদেশের আইন:

বাংলাদেশের আইনে এক স্ত্রী জীবিত থাকাকালীন দ্বিতীয় বিয়ে অবৈধ। তবে, বিশেষ কিছু কারণে (যেমন সন্তান না হওয়া, অসুস্থতা ইত্যাদি) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করা সম্ভব। এই অনুমতির জন্য আবেদন করার সময়, বর্তমান স্ত্রীর সম্মতির বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে। সালিশি পরিষদের অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করলে, স্বামীকে বর্তমান স্ত্রীর দেনমোহর পরিশোধ করতে হবে এবং প্রথম স্ত্রী বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আদালতে মামলা করতে পারেন। আরও দণ্ডবিধি আইন অনুযায়ী, স্বামী সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।

উপসংহার:

ইসলাম এবং বাংলাদেশের আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে, স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিন্ন। ইসলামে এটা শর্তসাপেক্ষে অনুমোদিত, তবে আইনগতভাবে অবৈধ। তাই, দ্বিতীয় বিয়ে করার আগে সকল আইনগত ও ধর্মীয় দিক বিবেচনা করা প্রয়োজন।

মূল তথ্যাবলী:

  • ইসলামে একাধিক বিয়ে সম্ভব, তবে সকল স্ত্রীর প্রতি সমান ন্যায় প্রয়োজন।
  • বাংলাদেশের আইনে এক স্ত্রী জীবিত থাকাকালীন দ্বিতীয় বিয়ে অবৈধ।
  • ইউনিয়ন পরিষদের অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য।
  • স্ত্রীর সম্মতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করলে আইনগত জটিলতায় পড়তে পারেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - স্ত্রীর অনুমতি

স্বামীর দীর্ঘদিনের সফরের জন্য স্ত্রীর অনুমতির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।