শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ: একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ (ShSMC) দেশের ১৪তম সরকারি মেডিকেল কলেজ এবং নতুন ঢাকায় অবস্থিত প্রথম মেডিকেল কলেজ। ২০০৬ সালের ৬ই মে ১০০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে 'বেগম খালেদা জিয়া মেডিকেল কলেজ' নামে যাত্রা শুরু করে, পরবর্তীতে ২০০৯ সালের ১লা জুন এর নামকরণ করা হয় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ। কলেজটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এবং বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত।
ঐতিহাসিক পটভূমি: ১৯৬৩ সালে 'আয়ুব কেন্দ্রীয় হাসপাতাল' নামে প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালটি পরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল নামে পরিচিত হয়। ২০০৫ সালে সরকার এই হাসপাতালটিকে মেডিকেল কলেজে রুপান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়। হাসপাতালের স্থাপত্য নকশা করেছিলেন বিখ্যাত স্থপতি লুই আই. কান।
শিক্ষা ও গবেষণা: কলেজটিতে ৫ বছর মেয়াদি এমবিবিএস কোর্স চালু রয়েছে। বর্তমানে ছয়টি ব্যাচে মোট ৯০০ এর অধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে। কলেজের সাথে সংযুক্ত একটি ৮৭৫ শয্যার হাসপাতাল রয়েছে যা মেডিসিন, চক্ষু, শৈল্য, নাক-কান-গলা, শিশুরোগ, চর্মরোগ, গাইনি, ফিজিওথেরাপি এবং দন্ত বিভাগসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সেবা প্রদান করে।
অবকাঠামো: কলেজের অবকাঠামো প্রায় ১৯ একর জমির উপর বিস্তৃত। আলাদা ছাত্র ও ছাত্রী হোস্টেল রয়েছে।
উল্লেখ্য: প্রতিদিন প্রায় ৯৭০ জন রোগী হাসপাতালের বহির্বিভাগের সেবা গ্রহণ করে। হাসপাতালে দেড় শতাধিক পেইং শয্যা এবং দুই শতাধিক নন-পেইং শয্যা রয়েছে। দরিদ্র ও অসহায় রোগীদের জন্য সমাজসেবা কার্যালয় রয়েছে।
আশা করি, এই তথ্য আপনার জন্য সহায়ক হবে। আরো বিস্তারিত তথ্যের জন্য কলেজের ওয়েবসাইট দেখতে পারেন।