সোনু সুদ: বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা, মানবতার মহান দূত
সোনু সুদ, একজন প্রতিভাবান ভারতীয় অভিনেতা, মডেল এবং প্রযোজক, যিনি হিন্দি, তেলুগু এবং তামিল চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। তিনি কন্নড় এবং পাঞ্জাবি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। তবে অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি সমাজসেবায়ও অসাধারণ অবদান রেখেছেন, বিশেষ করে করোনা মহামারীর সময় তার সাহায্য কাজে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছেন। তার এই কাজের জন্য তাকে 'মসিহা' হিসেবেও অভিহিত করা হয়।
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন:
সোনু সুদ ৩০ জুলাই ১৯৭৩ সালে পাঞ্জাবের মোগায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মোগার স্যাক্রেড হার্ট স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং পরে নাগপুরের ইয়েশ্বন্তরাও চাভান কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি.টেক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি সোনালী সুদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং তাদের দুই ছেলে আছে।
চলচ্চিত্র জীবন:
১৯৯৯ সালে তামিল চলচ্চিত্র 'কাল্লাঝাগার' এবং 'নেঞ্জিনিলে' অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জীবনে পদার্পণ করেন। এরপর তিনি তেলুগু এবং হিন্দি চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন এবং বহু জনপ্রিয় চরিত্রে অভিনয় করে সফলতা অর্জন করেন। 'আরুন্ধতি' (২০০৯), 'ডাবাং' (২০১০) এবং অন্যান্য সিনেমায় তার অসাধারণ অভিনয়ের জন্য তিনি বহু পুরস্কার লাভ করেন।
সমাজসেবা:
করোনা মহামারী চলাকালীন সময়ে লকডাউনে আটকে থাকা হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজের ব্যয় বহন করে তাদের গ্রামে ফিরিয়ে আনার জন্য অসাধারণ উদ্যোগ নিয়ে সোনু সুদ ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তিনি বিভিন্ন রাজ্যে অক্সিজেন সরবরাহ, চিকিৎসা সহায়তা, শিক্ষা সংক্রান্ত উদ্যোগ ইত্যাদির মাধ্যমে মানবতার সেবা করে যাচ্ছেন। সোনু সুদের এই সমাজসেবা কাজের জন্য তাকে ২০২০ সালে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP) 'SDG Special Humanitarian Action Award' এর সম্মানে ভূষিত করা হয়।
রাজনীতি:
সোনু সুদকে রাজনীতিতে আসার বহু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, এমনকি মুখ্যমন্ত্রী এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রস্তাবও ছিল, কিন্তু তিনি সেই সকল প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তার মতে, সমাজসেবা কাজে তিনি স্বাধীনভাবে আরও ভালো কাজ করতে পারেন।
উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র:
- কাল্লাঝাগার
- নেঞ্জিনিলে
- আরুন্ধতি
- ডাবাং
- যুবা
- আশিক বানায়া আপনে
- এবং আরও অনেক
সোনু সুদ অভিনয় ও মানবতার সেবায় এক অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। তিনি একটি অনুপ্রেরণা, যিনি প্রমাণ করেছেন যে খ্যাতি ও সম্পদের পাশাপাশি মানবতার সেবাও করা সম্ভব।