সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প

আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৭ পিএম

সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প: বাংলার অহংকার

সুন্দরবন, বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, এর সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ। এই অসাধারণ বনভূমি রক্ষার জন্য সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৯৭৩ সালের ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর এই প্রকল্প বঙ্গোপসাগরের উপকূলে অবস্থিত সুন্দরবনের ভারতীয় অংশকে ঘিরে। প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী ও তাদের আবাসস্থল সংরক্ষণ।

ঐতিহাসিক পটভূমি:

১৮৭৮ সালে সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়। ১৯৭৩ সালে এটি সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প হিসেবে ঘোষিত হয় এবং ১৯৮৪ সালের ৪ মে জাতীয় উদ্যানের মর্যাদা লাভ করে। ১৯৮৭ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘোষণা করে। এই বনাঞ্চলটি দীর্ঘকাল ধরে মানুষের বসবাস, জীবিকা ও সংস্কৃতির সাথে জড়িত। মুঘল আমল থেকেই সুন্দরবন বিভিন্ন রাজার ও জমিদারদের দখলে ছিল। পর্তুগিজ জলদস্যুদের আক্রমণও এই বনভূমির ইতিহাসের অংশ।

জীববৈচিত্র্য:

সুন্দরবন অসংখ্য প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থল। প্রধান আকর্ষণ রয়েল বেঙ্গল টাইগার, নোনা জলের কুমির, চিত্রা হরিণ, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, সাপ ও অন্যান্য সরীসৃপ। এছাড়া, সুন্দরী গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির ম্যানগ্রোভ গাছপালা বনভূমির সৌন্দর্য বাড়ায়।

প্রকল্পের কার্যক্রম:

সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণ ও তাদের আবাসস্থল রক্ষার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে। এতে পর্যবেক্ষণ, গবেষণা, চোরাশিকার রোধ, পুনর্বাসন, ও সচেতনতা বৃদ্ধি অন্তর্ভুক্ত। প্রকল্পটি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সাথেও সহযোগিতা করে বনাঞ্চলের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য।

বর্তমান অবস্থা:

সুন্দরবনের ভারতীয় অংশ সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের মাধ্যমে সংরক্ষিত হলেও মানুষের বসতি, জীবিকা, এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এর উপর পড়ছে। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এই সব চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য: প্রয়োজনীয় সকল তথ্য এখানে সংযোজিত হয়নি। আমরা আপনাকে আগামীকাল এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত উপলব্ধ হলে আপডেট করবো।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৭৩ সালে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের সূচনা
  • রয়েল বেঙ্গল টাইগার সংরক্ষণ প্রধান লক্ষ্য
  • ১৯৮৪ সালে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা
  • ১৯৮৭ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি
  • বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও আবাসস্থল রক্ষার জন্য কার্যক্রম

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প

৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়েছে।