সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ: দুই জেলার ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক পর্যালোচনা
বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট বিভাগের অধীনে অবস্থিত দুটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা হল সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ। দুটি জেলাই ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, প্রকৃতি ও অর্থনীতিতে সমৃদ্ধ।
সুনামগঞ্জ:
ঐতিহাসিকভাবে, সুনামগঞ্জ প্রাচীন কামরূপ ও প্রাগজ্যোতিষপুর রাজ্যের অংশ ছিল বলে ধারণা করা হয়। জনশ্রুতি অনুযায়ী, একজন মোগল সিপাহী সুনামুদ্দিনের নামানুসারে এ জেলার নামকরণ করা হয়। ১৮৭৭ সালে মহকুমা এবং ১৯৮৪ সালে জেলা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। সুনামগঞ্জ বিখ্যাত তার বিশাল হাওর এলাকা, বিশেষ করে টাংগুয়ার হাওর, যা ২০০০ সালে রামসার সাইট হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও জলজ প্রাণীর বসবাস রয়েছে। কৃষি, মৎস্য, পাথর শিল্প ও সিমেন্ট শিল্প এ জেলার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুনামগঞ্জের সাক্ষরতার হার প্রায় ৫৫.৩৫%। মুক্তিযুদ্ধের সময় সুনামগঞ্জে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে শ্রীরামসী ও রাণীগঞ্জ বধ্যভূমি উল্লেখযোগ্য।
হবিগঞ্জ:
সুফি সাধক শাহজালাল (রঃ)-এর অনুসারী সৈয়দ নাছির উদ্দিন (রঃ)-এর পূণ্যস্মৃতি বিজড়িত খোয়াই, করাঙ্গী, সুতাং, বিজনা, রত্না প্রভৃতি নদী বিধৌত হবিগঞ্জ ঐতিহাসিক জনপদ। হবিব উল্লাহ নামক ব্যক্তির নামানুসারে হবিবগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জ নামকরণ হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ১৮৭৪ সালে মহকুমা এবং ১৯৮৪ সালে জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। হবিগঞ্জের বানিয়াচং বিখ্যাত বিশ্বের বৃহত্তম গ্রাম হিসেবে। কৃষি, চা-বাগান, ও শিল্প (গার্মেন্টস, সিরামিকস ইত্যাদি) এখানকার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ। তেলিয়াপাড়া চা বাগান মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। হবিগঞ্জের সাক্ষরতার হার প্রায় ৬৯.৩২%।
উভয় জেলার সাধারণ বৈশিষ্ট্য:
উভয় জেলাই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ। হাওর, নদ-নদী, চা-বাগান, পাহাড়ি এলাকা ইত্যাদি এখানকার দর্শনীয় স্থান। কৃষি এখানকার অর্থনীতির মূল ভিত্তি। ঐতিহাসিক স্থাপনা, স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের জন্যও এ দুটি জেলা বিখ্যাত। আধুনিকায়নের ধারা অনুসরণ করলেও ঐতিহ্যের ধারণা এখনও এখানকার জনজীবনে প্রতিফলিত হয়।
বিঃদ্রঃ প্রদত্ত তথ্য যথেষ্ট নয়, উভয় জেলার বিস্তারিত ইতিহাস, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, ভৌগোলিক অবস্থান ইত্যাদি সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করে পরবর্তীতে আপডেট করা হবে।