সিলেটের তামাবিলা

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫:২৮ পিএম

সবুজ পাহাড় ও টিলায় ঘেরা সিলেট জেলা প্রকৃতির অপূর্ব এক রূপ। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অবস্থিত সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত তামাবিল, প্রকৃতির সৌন্দর্যের অনন্য এক স্থান। সিলেট-জাফলং সড়ক পথে জাফলং থেকে ৫ কিলোমিটার পূর্বেই তামাবিলের দেখা মিলবে। সিলেট শহর থেকে তামাবিলের দূরত্ব প্রায় ৫৫ কিলোমিটার।

তামাবিল মূলত বাংলাদেশের সিলেট এবং ভারতের শিলংয়ের মধ্যবর্তী সীমান্ত সড়কের একটি চৌকি। এই স্থানটি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বরাবর অবস্থিত হওয়ায় এর ভৌগোলিক অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তামাবিল থেকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাহাড়, ঝর্ণা, এবং অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের দৃশ্য উপভোগ করা যায়। প্রকৃতির এমন অপূর্ব সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিনই অনেক দর্শনার্থী তামাবিল ভ্রমণে আসেন।

তামাবিলের আশেপাশে বিশাল পাহাড়, ঝর্ণা, স্বচ্ছ পানির লেক, এবং জৈন্তা হিল রিসোর্ট দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করে। তামাবিল ভ্রমণের আগে সিলেটে আসতে হবে। ঢাকা থেকে সিলেটে বাস, ট্রেন, অথবা বিমানে আসা যায়। সিলেট থেকে তামাবিল যেতে লোকাল বাস, সিএনজি, অটোরিকশা, অথবা মাইক্রোবাস ভাড়া করা যায়।

তামাবিলের আবাসন ব্যবস্থা হিসাবে জৈন্তিয়া হিল রিসোর্ট, জাফলংয়ের গেস্ট হাউজ, জেলা পরিষদের বাংলো, এবং সিলেটের লালাবাজার ও দরগা রোডের কম খরচের মানসম্মত রেস্ট হাউস রয়েছে। তামাবিলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মূলত পর্যটন এবং সীমান্ত ব্যবসার উপর নির্ভরশীল। কয়লা ও অন্যান্য পাথর ভারত থেকে এই সীমান্তবন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়। তামাবিলের ঐতিহাসিক গুরুত্ব বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিদ্যমান।

মূল তথ্যাবলী:

  • সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় অবস্থিত তামাবিল বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
  • তামাবিল থেকে মেঘালয়ের পাহাড় ও ঝর্ণার অপূর্ব দৃশ্য দেখা যায়।
  • তামাবিল একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থান।
  • সিলেট শহর থেকে তামাবিলের দূরত্ব প্রায় ৫৫ কিলোমিটার।
  • তামাবিলের অর্থনীতি পর্যটন ও সীমান্ত ব্যবসার উপর নির্ভরশীল।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - সিলেটের তামাবিলা

২০ ডিসেম্বর

সিলেটের তামাবিলে একটি প্রাইভেটকার খাদে পড়ে যাওয়ার ফলে দুইজন নিহত হয়েছেন।