সিদ্ধারামাইয়া: কর্ণাটক রাজনীতির এক অভিজ্ঞ নেতা
সিদ্ধারামাইয়া (জন্ম: ৩ আগস্ট, ১৯৪৭) ভারতের একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এবং কর্ণাটকের ২২তম মুখ্যমন্ত্রী (২০ মে, ২০২৩ থেকে)। তিনি ১৯৮৩ সালে প্রথমবারের জন্য কর্ণাটক বিধানসভায় নির্বাচিত হন এবং এরপর থেকে কয়েকটি জনতা পরিবারের দলে যুক্ত ছিলেন, যার মধ্যে জনতা দল এবং জনতা দল (সেকুলার) অন্যতম। তিনি ১৯৯৬-৯৯ এবং ২০০৪-০৫ সালে কর্ণাটকের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে পুরো পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেন, যা কর্ণাটকের ইতিহাসে খুব কমই ঘটেছে।
তার রাজনৈতিক কর্মজীবন শুরু হয় মহীশূরের একজন আইনজীবী নঞ্জুন্দা স্বামীর উদ্যোগে। তিনি প্রথমে চামুণ্ডেশ্বরী আসন থেকে নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি বারুনা এবং বাদামী আসন থেকেও বিধায়ক নির্বাচিত হন। তিনি দুইবার কর্ণাটক বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
সিদ্ধারামাইয়া মহীশূর জেলার সিদ্ধারামনহুন্ডি গ্রামে এক কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কুরুবা গৌড় সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। তিনি মাউন্ট কর্মেল স্কুল এবং বিদ্যাবর্ধক হাই স্কুল থেকে শিক্ষা লাভ করেন এবং মহীশূর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এসসি. এবং এল.এল.বি. ডিগ্রি অর্জন করেন। একজন বিখ্যাত আইনজীবী পি.এম. চিকাবোরাইয়ার অধীনে তিনি কাজ করেন এবং কিছুদিন বিদ্যাবর্ধক আইন কলেজে আইন পড়ানোর কাজও করেছেন।
সিদ্ধারামাইয়া ২০১৮ সালের নির্বাচনে বাদামী আসন থেকে জয়ী হলেও চামুণ্ডেশ্বরী আসনে পরাজিত হন। ২০২৩ সালের নির্বাচনে তিনি পুনরায় বারুনা আসন থেকে জয়ী হয়ে দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হন।
তার রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি তিনি বিতর্কের মুখেও পড়েছেন। তবে তার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও জনসমর্থন তাকে কর্ণাটক রাজনীতিতে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব করে তুলেছে। তার ব্যক্তিগত জীবনে, তার স্ত্রী পার্বতী এবং দুই ছেলে রয়েছে। বৃদ্ধ বয়সেও তার রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য। আমাদের কাছে যতটুকু তথ্য আছে তা দিয়েই এই নিবন্ধটি রচিত হয়েছে। আরো তথ্য পাওয়া গেলে আমরা নিবন্ধটি আরও সমৃদ্ধ করব।