বাংলাদেশে সিএনজি: একটি বিশ্লেষণ
সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থায় একটি বিপ্লব সাধন করেছে। পেট্রোল ও ডিজেলের তুলনায় পরিবেশবান্ধব এবং অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয়ী এই জ্বালানি দেশের জনগোষ্ঠীর কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রাকৃতিক গ্যাসকে উচ্চ চাপে (৩০০০+ পিএসআই) সংকুচিত করে সিএনজি তৈরি করা হয় এবং বিশেষভাবে ডিজাইনকৃত ট্যাংকিতে সংরক্ষণ করা হয়। গাড়িগুলিকে পেট্রল বা ডিজেল থেকে সিএনজিতে রূপান্তরিত করা যায়, যদিও ১২৫ সিসি-র কম ক্ষমতার মোটরসাইকেলের জন্য গ্যাস সিলিন্ডারের উপযোগিতা বিবেচনা করা প্রয়োজন।
- *সিএনজির ইতিহাস:** বাংলাদেশে সিএনজির ব্যবহার ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাথমিকভাবে, রাজধানী ঢাকা শহরে সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। ক্রমান্বয়ে, দেশের অন্যান্য শহর ও গ্রামেও এর ব্যবহার বাড়তে থাকে। ঠিক কবে থেকে বাংলাদেশে সিএনজি ব্যবহার শুরু হয়েছিল, তা নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা কঠিন। তবে, ৯০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে এর ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
- *সিএনজির সুবিধা:** সিএনজি পেট্রোল ও ডিজেলের তুলনায় পরিবেশবান্ধব। সিসা ও বেনজিন মুক্ত এই জ্বালানি বাতাসের দূষণ কমায়। এছাড়াও, সিএনজির রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় কম এবং দামে সাশ্রয়ী। সিএনজির মাইলেজ পেট্রোল বা ডিজেলের তুলনায় প্রায় সমান হলেও, এটি দামে অনেক কম।
- *সিএনজির অসুবিধা:** সিএনজির সীমাবদ্ধতা হলো এর সরবরাহ এবং সংগ্রহের ক্ষেত্রে সমস্যা। সিএনজির চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকে বলে দীর্ঘ লাইন, অপেক্ষা এবং অনিয়মিত সরবরাহের সম্মুখীন হতে হয়। এছাড়াও, সিএনজি চালিত গাড়ির গতিবেগ ও ক্ষমতা পেট্রোল বা ডিজেলচালিত গাড়ির তুলনায় কম।
- *উপসংহার:** বাংলাদেশে সিএনজি পরিবহন ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পরিবেশবান্ধব ও অর্থনৈতিক দিক থেকে এটির অবদান অসীম। তবে সরবরাহের উন্নতিকরণ এবং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এর সীমাবদ্ধতা দূর করা প্রয়োজন।